Tuesday, November 19, 2024
Google search engine
Homeআন্তর্জাতিকআমি সব আমেরিকানের প্রেসিডেন্ট হব: কমলা

আমি সব আমেরিকানের প্রেসিডেন্ট হব: কমলা

জয় বাংলাদেশ: যুক্তরাষ্ট্রে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে তার নাম আগেই নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। বাকি ছিল কেবল আনুষ্ঠানিকতার পালা। সেটিও শেষ হলো বৃহস্পতিবার। এমন দিনে কমলা হ্যারিস মনোনয়নপত্র গ্রহণ করলেন যেদিন ছিল তার দশম বিবাহবার্ষিকী। আনুষ্ঠানিকভাবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থীপদ গ্রহণের পর প্রথম ভাষণে নিজের নীতি স্পষ্ট করেন তিনি।

পাশাপাশি বলেছেন, তিনি বিশ্ব জুড়ে স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে লড়বেন। তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে তার অগ্রাধিকারের তালিকায় গাজা, ন্যাটোকে সমর্থন ও মধ্যবিত্তদের কর হ্রাসকে রেখেছেন। হ্যারিস জিতলে তিনি হবেন আমেরিকার প্রথম নারী ও এশীয় বংশোদ্ভূত প্রেসিডেন্ট।

ভাষণে যা বললেন হ্যারিস: কমলা হ্যারিস (৫৯) তার ভাষণে বলেন, তিনি আমেরিকার সব মানুষের জন্য প্রেসিডেন্ট হতে চান। তিনি বলেছেন, আমি সব আমেরিকানের হওয়ার জন্য প্রার্থীপদ গ্রহণ করছি। আমেরিকার সব মানুষের হয়ে, তাদের কাহিনি বিশ্বের এই মহান দেশে স্বর্ণাক্ষরে লেখার জন্য প্রেসিডেন্ট হতে চাই।’

তিনি বলেছেন, ‘আমি জানি, বিভিন্ন রাজনৈতিক মতের মানুষ এই ভাষণ শুনছেন ও দেখছেন। তাদের কাছে আমি একটা কথাই বলতে চাই, আমি সেই প্রেসিডেন্ট হতে চাই, যিনি সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করবেন, তাদের উচ্চাশা পূরণ করবেন। এমন একজন প্রেসিডেন্ট হতে চাই, যিনি নেতৃত্ব দেবেন, যিনি সবার কথা শুনবেন।’

ভোটদাতাদের কমলা বলেছেন, ‘একটা নতুন পথে হাঁটার সুযোগ এসেছে। অতীতের তিক্ততা ভুলে, হতাশা মুছে দিয়ে এগোবার সুয়োগ এসেছে। একটা দল বা একটা গোষ্ঠী হিসেবে নয়, আমেরিকার মানুষ হিসেবে এগোনোর সুযোগ এসেছে। আমাদের আর পিছিয়ে যাওয়ার সুয়োগ নেই।’

মিডিয়ার বিশ্লেষকরা হ্যারিসের ভাষণকে শক্তিশালী হিসেবে বর্ণনা করে ২০০৮ সালের কনভেনশনে আমেরিকার প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট প্রার্থী বারাক ওবামার ভাষণের সঙ্গে তুলনা করেন।

হ্যারিস হচ্ছেন প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ নারী এবং প্রথম দক্ষিণ এশীয় বংশোদ্ভূত যিনি প্রেসিডেন্ট পদের জন্য ডেমোক্রেটিক দলের মনোনয়ন গ্রহণ করলেন। ভাষণের শুরুতে হ্যারিস তার ভারতীয় মা এবং জামাইকা বংশোদ্ভূত বাবা নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন এবং বলেন কীভাবে তারা তার জীবন প্রভাবিত করেছে।

কমলার দশম বিবাহবার্ষিকী ছিল বৃহস্পতিবার। এই দিনটিতেই কমলা মনোনয়ন নিলেন। বক্তব্যের আগে মঞ্চে উপস্থিত হন কমলার স্বজনেরা। তার ভাতিজির দুই সন্তান কমলার নামের সঠিক উচ্চারণ শিখিয়েছেন দর্শক শ্রোতাদের। সম্মেলনস্থলের বাইরে বিক্ষোভ করছিল ফিলিস্তিনপন্থিরা।

পররাষ্ট্রনীতি প্রসঙ্গে

কমলা হ্যারিস বলেছেন, প্রেসিডেন্ট হতে পারলে তিনি ইউক্রেন ও ন্যাটোর পাশে শক্তভাবে দাঁড়াবেন। হ্যারিসের মতে, ‘গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তির সময় এসেছে। বন্দিদের মুক্তি দেওয়াটা জরুরি। আমি সবসময়ই ইসরাইলের আত্মরক্ষার অধিকারের পক্ষে। কিন্তু গাজায় যা হয়েছে তা ভয়ংকর ও হূদয়বিদারক।’ তিনি বলেছেন, ‘প্রেসিডেন্ট বাইডেন এবং আমি এই যুদ্ধ বন্ধের চেষ্টা করেছি। আমরা চেয়েছি, ইসরাইল যেন সুরক্ষিত থাকে এবং বন্দিরা যেন মুক্তি পান। ফিলিস্তিনি মানুষ যেন মর্যাদা, সুরক্ষা, স্বাধীনতা ও আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার নিয়ে বাঁচতে পারেন।’

ট্রাম্পের সমালোচনা

হ্যারিস তার প্রতিপক্ষ রিপাবলিকান পার্টির ট্রাম্প সম্পর্কে হুঁশিয়ারি দেন। তিনি বলেন, আইন ভঙ্গ করতে ট্রাম্পের প্রবণতা ইঙ্গিত দেয় যে, পুনরায় নির্বাচিত হলে দ্বিতীয় মেয়াদে তিনি বেপরোয়া হতে পারেন। চিন্তা করুন, ট্রাম্পের ওপর যদি কোনো বাধা না থাকে, তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে তার বিশাল ক্ষমতা কীভাবে ব্যবহার করবেন। আপনাদের জীবন মান উন্নত করার জন্য না, আমাদের জাতীয় নিরাপত্তা জোরদার করার জন্য না, শুধু নিজের স্বার্থ হাসিল করার জন্য।’

কমলা হ্যারিসের ভাষণের মধ্যে দিয়ে শিকাগোতে ডেমোক্র্যাটদের সম্মেলন শেষ হয়েছে। হ্যারিস মার্কিন ভোটদাতাদের কাছে আবেদন জানিয়ে বলেছেন, তারা যেন বিভাজনের রাজনীতিতে সায় না দেন। তিনি দাবি করেছেন, ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হলে দেশ জুড়ে গর্ভপাত নিষিদ্ধ করবেন। বাইডেন সরে যাওয়ার পর কমলা হ্যারিস এখন ট্রাম্পের প্রতিদ্বন্দ্বী। —ডয়চে ভেলে ও সিএনএন

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -
Google search engine

নতুন সংবাদ

Recent Comments