জয় বাংলাদেশ: বিশ্বব্যাপী মানবপাচার বিরোধী কার্যক্রমে ভূমিকা রাখায় এবার অ্যামেরিকার স্টেইট ডিপার্টমেন্টের মর্যাদাপূর্ন ট্রাফিকিং ইন পার্সন-টিআইপি হিরো অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত হয়েছেন বাংলাদেশের আল আমিন নয়ন। মানবপাচার বিষয়ক ২০২৪ সালের রিপোর্ট প্রকাশ করে তার হাতে এ পুরস্কার তুলে দেন স্টেইট সেক্রেটারি অ্যান্টোনি ব্লিনকেন। এ সময় মানবপাচার রোধে নয়নের বীরত্বপূর্ণ ভূমিকার প্রশংসা করেন তিনি। দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র ব্যক্তি হিসেবে চলতি বছর এ পুরস্কার পেলেন নয়ন। স্টেইট ডিপার্টমেন্টের বার্ষিক মানবপাচার বিষয়ক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। একই সঙ্গে ঘোষণা করা হয় চলতি বছরের ট্রাফিকিং ইন পার্সন হিরো অ্যাওয়ার্ড। গত ২০ বছর ধরে বিশ্বব্যাপী মানবপাচার রোধে বিশেষ অবদান রাখায় ১৭০ জন সরকারী কর্মকর্তা, আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার সদস্য, আইনজীবী, সমাজকর্মী, বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধিদের এ পুরস্কার দেয়া হয়। বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে ২০০৪ সাল থেকে স্টেইট ডিপার্টমেন্ট মর্যাদাপূর্ন এ অ্যাওয়ার্ডটি দিয়ে আসছে। ২০০৯ সাল থেকে অ্যাওয়ার্ড বিজয়ীদের ওয়াশিংটনে স্বশরীরে আমন্ত্রণ জানানো হয়, যেখানে এ কঠিন লড়াইয়ে তারা কিভাবে মানবতার সেবায় কাজ করেন তা তুলে ধরেন। চলতি বছর দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র প্রতিনিধি হিসেবে এ অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন বাংলাদেশের নয়ন। এছাড়া কেনিয়া, মালি, ফিলিপিনস, সার্বিয়া, স্পেন, সুরিনাম, বলিভিয়া এবং ইরাকের একজনসহ মোট নয়জন ২০২৪ সালে টিআইপি হিরোর স্বীকৃতি পেয়েছেন। এসময় ব্লিনকেন বলেন, সারা বিশ্ব থেকে নির্বাচিত করা হয়েছে নয় টিআইপি হিরোকে। এই বীরেরা সারা বিশ্বের মানুষের জীবনে ব্যাপক পরিবর্তন এনেছেন। প্রবাসীদের বন্ধু হিসেবে পরিচিত নয়ন বাংলাদেশের বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাকের মাইগ্রেশন ওয়েলফেয়ার সেন্টারের ব্যবস্থাপক হিসেবে বিদেশ-ফেরত ও পাচারের শিকার অন্তত ৩৪ হাজার মানুষকে সহায়তা দিয়েছেন। ঢাকা বিমানবন্দরে বিদেশ-ফেরত ও পাচারের শিকার মানুষদের সহায়তায় তিনি ভূমিকা রেখে আসছেন। এর আগে ২০০৭ সালে মালয়েশিয়ায় কাজ করতে গিয়ে তিনি নিজে পাচারের শিকার হন। এ কাজ করতে গিয়ে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে মিথ্যা ও হয়রানিমূলক একটা মামলাও হয় নয়নের বিরুদ্ধে। বাংলাদেশে মানব পাচারের শিকার ব্যক্তিদের নিয়ে কাজ করা সবচেয়ে বড় নেটওয়ার্ক ‘অনির্বান সারভাইভারস ভয়েস’ এর সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন নয়ন।