লাতিন অ্যামেরিকার দেশ ইকুয়েডরে সদ্য প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচিত হয়েছেন ড্যানিয়েল নোবোয়া। প্রেসিডেন্টের চেয়ারে বসেই তিনি মাদক মাফিয়াদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন। গত মঙ্গলবার ৬০ দিনের জরুরি অবস্থাও ঘোষণা করেছিলেন তিনি।
এদিকে পাল্টা হুমকি দিয়েছে মাদক মাফিয়ারা। জেল ভেঙে পালিয়েছে অন্যতম এক মাদক মাফিয়া। তার গ্যাং গত মঙ্গলবার দিনভর তাণ্ডব চালিয়েছে। টিভি স্টেশনে লাইভ চলাকালীন তারা ঢুকে পড়েছে। গুলি চালিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বুধবার মাদক মাফিয়াদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন নোবোয়া।
নোবোয়া একটি রেডিও সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, গোটা দেশে প্রায় ২০ হাজার লোক মাদকচক্রের সঙ্গে যুক্ত। তারাই দেশজুড়ে সহিংস কার্যকলাপ চালাচ্ছে। জেল ভাঙার সময় ১৩০ জন নিরাপত্তাকর্মীকে মাদক মাফিয়ারা পণবন্দি করেছে বলে অভিযোগ। মাদক চক্র তাদের ভিডিও প্রকাশ করেছে।
নোবোয়া জানিয়েছেন, পণবন্দিদের উদ্ধার করার সমস্ত রকম চেষ্টা চালানো হচ্ছে। ২২টি মাদকচক্রকে জঙ্গি গোষ্ঠী বলে ঘোষণা করা হয়েছে। সেনা সরাসরি তাদের বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করেছে।
এদিকে প্রশাসন জানিয়েছে, বহু মাফিয়া জেল ভেঙে পালিয়েছে। নোবোয়ার নির্দেশে নতুন জেল তৈরি হচ্ছে। অবৈধভাবে দেশে ঢুকে পড়া বিদেশি বন্দিদের জেল থেকে বার করে এনে ডিপোর্টের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। মাফিয়াদের বিরুদ্ধে পুরোপুরি যুদ্ধে নেমে পড়েছে সেনা এবং পুলিশ।
এদিকে এই পরিস্থিতিতে স্বাভাবিক জীবনযাপন অনেকটাই ব্যাহত হয়েছে। দোকানপাট বন্ধ। বন্ধ স্কুল-কলেজ। তবে নোবোয়ার এই পদক্ষেপকে সমর্থন জানিয়েছেন দেশের প্রায় সমস্ত রাজনীতিবিদ। অন্যদিকে নোবোয়া জানিয়েছেন, নতুন যে জেল তৈরির ব্লু প্রিন্ট তিনি তৈরি করেছেন, সেখানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা হবে চূড়ান্ত। দুইটি এই ধরনের জেল তৈরি করা হচ্ছে।