জয় বাংলাদেশ: ডেমোক্রেটিক দলীয় সাবেক এমপি এবং পরে রিপাবলিকান পার্টিতে যোগ দেওয়া তুলসি গ্যাবার্ডকে (৪৩) যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিরেক্টর অব ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্স) প্রধান হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ওয়াশিংটন থেকে এএফপি এ খবর জানিয়েছে।
তিনি হাওয়াইয়ের ডেমোক্র্যাটিক দলীয় এমপি ছিলেন। গ্যাবার্ডেকে জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালক হিসেবে ১৮টি গোয়েন্দা সংস্থার দ্বায়িত্ব দিয়েছেন ট্রাম্প। সেই সঙ্গে ৭৬ বিলিয়ন ডলারের বাজেটও তদারকির দায়িত্ব পেয়েছেন তিনি।
অতীতের জাতীয় গোয়েন্দা বিভাগের কর্মকর্তাদের মতো কোনো বিশেষ অভিজ্ঞতই নেই তার। সরকারের কোনো শীর্ষস্থানীয় পদেও ছিলেন না কখনো। এরপরও তাকেই জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন ট্রাম্প।
তুলসি নাম দেখে অনেকে তাকে ‘ভারতীয় বংশোদ্ভূত’ মার্কিন নাগরিক মনে করে থাকেন। আসলে তা নয়। বংশগত দিক থেকে ভারতের সাথে তাদের পরিবারের কোনো সম্পর্কই নেই। বিষয়টি তিনি বিভিন্ন অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ফোরামে বারবার স্পষ্ট করেছেন।
মাইক গ্যাবার্ড ও মাক্যারল গ্যাবার্ড দম্পত্তির পাঁচ সন্তানের মধ্যে চতুর্থ তুলসি গ্যাবার্ড ১৯৮১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সামোয়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তার বয়স যখন দুই বছর, তখন তার পরিবার হাওয়াইতে চলে যায়। সেখানেই বড় হন তুলসি।
তিনি মিশ্র সংস্কৃতির পরিবারে বেড়ে উঠেছেন। তার বাবা মাইক গ্যাবার্ড সামোয়ান ও ইউরোপীয় বংশোদ্ভূত। আর মাক্যারলের জন্ম ও বেড়ে ওঠা যথাক্রমে যুক্তরাষ্ট্রের ইন্ডিয়ানা ও মিশিগান রাজ্যে। ক্যারল প্রথম জীবনে হিন্দু ধর্মের প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠেন এবং সেখান থেকেই নিজের সন্তানদের হিন্দু নাম রাখেন।
তুলসি বাড়িতেই হাই স্কুল পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন। তবে এর মধ্যে ফিলিপিন্সের একটি বালিকা বোর্ডিং স্কুলে দুই বছর পড়াশোনা করেছিলেন। ওই সময় পড়াশুনার পাশাপাশি বেশ কয়েকটি সামাজিক সংগঠনে জড়িয়ে পড়েন তিনি।
বাবা মাইক গ্যাবার্ড হাওয়াই রাজ্যের সিনেটর ছিলেন। বাবার অনুপ্রেরণাতেই রাজনীতিতে প্রবেশ করেন তুলসি এবং ২০০২ সালে হাওয়াই প্রতিনিধি পরিষদের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে লিওয়ার্ড কমিউনিটি কলেজ ত্যাগ করেন। সেখানে তিনি টেলিভিশন প্রোডাকশন বিষয়ে পড়াশোনা করতেন। নির্বাচনে অংশ নিয়ে প্রথমবারেই প্রতিনিধি পরিষদের সর্বকনিষ্ঠ নারী প্রতিনিধি নির্বাচিত হন।
প্রতিনিধি পরিষদে দায়িত্ব পালনকালে ২০০৩ সালে হাওয়াই আর্মি ন্যাশনাল গার্ডে যোগ দেন তুলসি। তিনি ইরাক যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন। প্রায় দুই দশক তিনি সেনাবাহিনীতে দায়িত্ব পালন করেন। এর পাশাপাশি পড়াশুনা, রাজনীতি ও চালিয়ে যান।
এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে গত অক্টোবরে উত্তর ক্যারোলিনায় ট্রাম্পের সমাবেশে যোগ দেন তুলসি। এমনকি হ্যারিসের বিরুদ্ধে ট্রাম্পের প্রস্তুতিতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করেন।