Tuesday, November 19, 2024
Google search engine
Homeস্বদেশ সংবাদঈদযাত্রায় সব পথেই বেড়েছে যাত্রীচাপ

ঈদযাত্রায় সব পথেই বেড়েছে যাত্রীচাপ

আর মাত্র কয়েকদিন পরই পবিত্র ঈদুল ফিতর। পরিবার ও স্বজনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে সড়ক, রেল ও জলপথে নিজ নিজ গন্তব্যে ছুটছেন মানুষ। সোমবার (৮ এপ্রিল) দুপুরের পর থেকে সব পথেই বেড়েছে যাত্রীচাপ।

দুপুরের পর থেকেই গাজীপুরের ঢাকা-টাঙ্গাইল ও ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে ঘরমুখো মানুষের ঢল নেমেছে। এত এত যাত্রীর তুলনায় পরিবহনের সংখ্যা খুবই কম। পরিবহন সংকটে পড়ে বাস, ট্রাক, পিকআপ ও ড্রাম্প ট্রাকে করে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন অনেকে।

মহাসড়কে দায়িত্বে থাকা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা বলছেন, গাজীপুর ও আশপাশের শিল্পকারখানাগুলোর ছুটি হওয়ায় মহাসড়কে যানবাহনের চাপ হঠাৎ করেই কয়েক গুণ বেড়ে গেছে। এ কারণে চন্দ্রা মোড় থেকে যানবাহনগুলো ধীরগতিতে চলাচল করছে। ফলে কালিয়াকৈর-নবীনগর সড়কে গাড়ির দীর্ঘ সারি হয়েছে।

হাইওয়ে পুলিশ ও যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গাজীপুরে ছোট-বড় প্রায় পাঁচ হাজার শিল্পকারখানা আছে। এসব কারখানার মধ্যে অধিকাংশের ছুটি হয়েছে আজ। তাই মহাসড়কে যাত্রীদের চাপ বেড়েছে। এদিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের গাজীপুরের চন্দ্রার কয়েক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যাত্রীর অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকা গাড়ির দীর্ঘ সারি রয়েছে। কবিরপুর থেকে চন্দ্রা পার হয়ে ঈদযাত্রার গাড়িগুলো মহাসড়কের পাশে দাঁড় করিয়ে যাত্রী ওঠানামা করছে। এতে মহাসড়কে চলাচলকারী দূরপাল্লার যানবাহনগুলো গতি হারাচ্ছে। গতি হারিয়ে স্বল্প সময়ের জন্য যানজট তৈরি হয়েছে।

অন্যদিকে পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর থেকে বরিশাল অঞ্চলগামী লঞ্চগুলোতে যাত্রী কমায় সদরঘাটের চেনা রূপ অনেকটাই হারিয়েছিল। তবে ঈদের ছুটির সঙ্গে ফিরেছে চেনা সেই ভিড়।

সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে এ চিত্র দেখা যায়। বরিশাল, ভোলা ও চাঁদপুর যাওয়া জন্য ঘাটে দাঁড়িয়ে আছে সারি সারি বিলাসবহুল লঞ্চ। সাইরেন বাজার সঙ্গে সঙ্গে যাত্রী উঠানোর হাঁকডাক দিচ্ছেন লঞ্চ শ্রমিকরা। ঈদযাত্রা শুরুর পর থেকে আজ যাত্রীর চাপ তুলনামূলক অনেক বেশি।
সদরঘাটে লঞ্চ শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পদ্মা সেতুর প্রভাব না থাকায় চাঁদপুর রুটে শিডিউল অনুযায়ী চলছে লঞ্চ। ভোলা অঞ্চলের লঞ্চগুলোতে দুপুর থেকে ভিড় করেছে যাত্রীরা। সকাল থেকে ভোলার বিভিন্ন রুটে বেশ কয়েকটি লঞ্চ ছেড়ে গেছে। সন্ধ্যার পর থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত বাকি লঞ্চগুলো ছেড়ে যাবে।

লঞ্চ সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঈদযাত্রার শুরুর পর থেকে এত ভিড় হয়নি। আজ ছুটির দিন হওয়ায় মানুষের ভিড় বেড়েছে। আগামী দুদিন যাত্রীর চাপ আরো বাড়বে। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার যাত্রী বেশি লঞ্চে।

এছাড়াও ঈদযাত্রার শেষ সময়ে ট্রেনে বেড়েছে যাত্রীচাপ। ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় না থাকায় সঠিক সময়ে স্টেশন থেকে ট্রেনগুলো ছেড়ে যাচ্ছে। এ বছর তিনস্তরের তল্লাশি চৌকি পার হয়ে যাত্রীদের স্টেশনে প্রবেশ করতে হচ্ছে। পজ মেশিন দিয়ে টিকিট ভেরিফাই করে তারপর প্ল্যাটফর্মে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে। ফলে টিকিট ছাড়া যাত্রীরা স্টেশনে প্রবেশ করতে পারছেন না। তবুও বিভিন্ন উপায়ে আজ কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে যাত্রীরা প্রবেশ করেছেন বলে জানা গেছে। এতে স্টেশনগুলোতে বেড়েছে যাত্রীচাপ।

মহাসড়কে যানজটের বিষয়ে গাজীপুর জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাজমুস সাকিব জানান, চন্দ্রায় যাতে যানজটের তৈরি না হয় তার জন্য পুলিশ কাজ করছে। মহাসড়কের ওপর কোনো গাড়িকে দাঁড়াতে দেওয়া হচ্ছে না। এছাড়াও বিকল হয়ে যাওয়া গাড়ি মহাসড়ক থেকে সরিয়ে নিতে রেকার তৈরি রাখা হয়েছে। যাতে দ্রুত সময়ের মধ্যে গাড়ি রেকারের মাধ্যমে সরিয়ে নেওয়া যায়।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -
Google search engine

নতুন সংবাদ

Recent Comments