নিজেদের অঞ্চলে উত্তেজনা বৃদ্ধির মধ্যেই দক্ষিণ-পশ্চিম থেকে দক্ষিণ-পূর্ব উপকূল পর্যন্ত বিস্তৃত এলাকায় শত্রু লক্ষ্যবস্তু ঠেকাতে ডিজাইন করা ড্রোন ব্যবহার করে একটি সফল বিমান প্রতিরক্ষা মহড়া চালিয়েছে ইরান। শুক্রবার দেশটি এ কথা জানিয়েছে।
মঙ্গলবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে বিমান ও ড্রোন হামলা চালায় ইরান। তেহরানের বিরুদ্ধে প্রথমে আকাশসীমা লঙ্ঘনের অভিযোগ আনে ইসলামাবাদ। এরপর বৃহস্পতিবার ইরানের অভ্যন্তরে পাল্টা প্রতিশোধমূলক হামলা চালায় পাকিস্তান।
ইরানের সেনাবাহিনীর একজন মুখপাত্রকে উদ্ধৃত করে রাষ্ট্র-চালিত প্রেস টিভি জানিয়েছে, ‘ইরানি বাহিনী সফলভাবে একটি নতুন বিমান প্রতিরক্ষা পদ্ধতি চালু করেছে যা ড্রোনের সাহায্যে শত্রুদের হামলা ঠেকাতে এবং সেগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করতে সক্ষম।
বৃহস্পতিবার শুরু হওয়া দুই দিনের মহড়া দক্ষিণ-পশ্চিম খুজেস্তান প্রদেশের আবদান থেকে দক্ষিণ-পূর্ব সিস্তান ও বেলুচিস্তান প্রদেশের চাবাহার পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। এলাকাটি পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের সীমান্তবর্তী।
প্রেস টিভি জানিয়েছে, সেনাবাহিনীর বিমান বাহিনী ও নৌবাহিনী, মহাকাশ বাহিনী এবং ইসলামিক বিপ্লবী গার্ড কর্পস (আইআরজিসি) এর নৌবাহিনী মহড়ায় অংশ নিয়েছে।
ইরান ও পাকিস্তানের মধ্যে সম্পর্কের উতাল-পাতাল রয়েছে। তবে উভয়ই এই সপ্তাহের হামলার পরিপ্রেক্ষিতে উত্তেজনা প্রশমন করার ইচ্ছার ইঙ্গিত দিয়েছে।
গাজা যুদ্ধের পটভূমিতে, ইরান ও মধ্যপ্রাচ্যের চারপাশে তার সশস্ত্র মিত্ররা গাজা উপত্যকায় ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে এই অঞ্চলে ইসরায়েলি এবং মার্কিন লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়ে আসছে।
ইরান ইসলামিক স্টেটের সাইট ও ইরাকের বিরুদ্ধে সিরিয়ায় হামলা শুরু করেছে। তারা ইসরায়েলি গুপ্তচরবৃত্তি কেন্দ্রে হামলার দাবি করেছে।