Tuesday, November 19, 2024
Google search engine
Homeআন্তর্জাতিকএআইয়ের জন্য মহাশূন্যে ডেটাসেন্টার বানাতে চায় যুক্তরাষ্ট্র

এআইয়ের জন্য মহাশূন্যে ডেটাসেন্টার বানাতে চায় যুক্তরাষ্ট্র

জয় বাংলাদেশ: গোটা বিশ্ব জেনারেটিভ এআইয়ে বুঁদ। সময়ের সাথে প্রাত্যহিক জীবনেও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এ আইয়ের ব্যবহার বাড়ছে। আর এই এআইয়ের দক্ষতার বিষয়টি নির্ভর করে তথ্যভাণ্ডারের ওপর। তথ্য যত বেশি, এআইয়ের আউটপুট তত ভালো। কিন্তু চাহিদা যেভাবে বাড়ছে, তাতে এআইয়ের জন্য বিপুল তথ্যভাণ্ডার তৈরি ও তার ব্যবস্থাপনা ততই কঠিন হয়ে পড়ছে। এ সমস্যার সমাধান হিসেবেই মহাশূন্যে তথ্যভাণ্ডার করার প্রস্তাব হাজির করেছে মার্কিন এক স্টার্টআপ।

মার্কিন স্টার্টআপ লুমেন অরবিট গত মঙ্গলবার তাদের প্রথম শ্বেতপত্র প্রকাশ করেছে। এতে তারা মহাশূন্যে ডেটাসেন্টার বা তথ্যভাণ্ডার তৈরির পক্ষে অবস্থান প্রকাশ করেছে।

বিষয়টি শুনতে যেমনই লাগুগ লুমেন অরবিট বলছে, এআইয়ের ব্যবহার ও চাহিদা বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে শক্তির চাহিদাও বাড়ছে ক্রমাগত। চ্যাটজিপিটির মতো জেনারেটিভ এআই নিজেদের উন্নয়নের লক্ষ্যে একের পর এক বড় বড় তথ্যভাণ্ডার তৈরি করছে। এসব তথ্যভাণ্ডারের তথ্য প্রক্রিয়াকরণে যেমন, তেমন এসব তথ্যভাণ্ডারকে ঠান্ডা রাখতেও ব্যাপক শক্তির প্রয়োজন হয়। কিন্তু মুশকিল হচ্ছে বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রক্রিয়া নিয়ে এরই মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে। কারণ, বিদ্যমান প্রযুক্তিগুলোতে বিদ্যুৎ উৎপাদনে কম‑বেশি পরিবেশ দূষণ হয়। এই বাস্তবতায় দাঁড়িয়েই লুমেন অরবিট মহাশূন্যে ডেটাসেন্টার তৈরির প্রস্তাব হাজির করেছে।

লুমেন অরবিটের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ফিলিপ জনস্টন পিসিম্যাগকে বলেন, ‘বিপুল সৌরশক্তিকে কাজে লাগানোর লক্ষ্যে আমাদের উচিত এআইয়ের জন্য ডেটাসেন্টারগুলো মহাশূন্যে স্থাপনের পরিকল্পনা করা। সেখানে শক্তির প্রশ্নটি শুধু নয়, প্রয়োজনমতো এর পরিসর বৃদ্ধির সুযোগটিও থাকবে।’

লুমেন অরবিটের হিসাবমতে, মহাশূন্যে ডেটাসেন্টার বানাতে যেখানে ৮ দশমিক ২ মিলিয়ন ডলারের মতো ব্যয় হতে পারে, সেখানে পৃথিবীপৃষ্ঠে এমন ডেটাসেন্টার তৈরি খরচ পড়বে ১৬৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এ ক্ষেত্রে ৪ বর্গকিলোমিটার ব্যাসের সৌর অঞ্চলের সাথে একে সংযুক্ত করার প্রস্তাব করেছে লুমেন অরবিট। আর একেই তারা শক্তি জোগানের ব্যয় ২ মিলিয়ন ডলারে সীমাবদ্ধ রাখতে পারার সম্ভাব্য কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছে। ভূমিতে এ ব্যয় প্রায় ১৪০ মিলিয়ন ডলার।

ফিলিপের দাবি, এআইয়ের বিস্তারের এই বাস্তবতায় মহাশূন্যে ডেটাসেন্টার স্থাপনের বিষয়টি অর্থনৈতিক তো বটেই পরিবেশ দূষণসহ যাবতীয় সব বিবেচনাতেই টেকসই।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -
Google search engine

নতুন সংবাদ

Recent Comments