কেন্দ্র দখল তো দূরের কথা যদি একটি জাল ভোটও যদি পড়ে সেই কেন্দ্র বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আহসান হাবিব খান। তিনি বলেন, কালো টাকা গুণ্ডা-পাণ্ডা পেশি শক্তির কোনো ছাড় নেই।
শনিবার (১৮ মে) সকাল ১১টায় ঝালকাঠি শিল্পকলা একডেমিতে ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচন উপলক্ষে বরিশাল, ঝালকাঠি ও পিরোজপুর জেলার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি।
ইসি হাবিব বলেন, নির্বাচন প্রভাব মুক্ত রাখতে কোনো ছাড় নেই। প্রভাব মুক্ত থাকবে ভোট কেন্দ্র। কোনো প্রভাব বিস্তার সহ্য করা হবে না। ভোটারের কাছে যিনি যোগ্য প্রার্থী তাকেই ভোটাররা যাতে ভোট দিতে পারে আমরা সেই সংস্কৃতি চালু করার চেষ্টা করছি।
তিনি আরও বলেন, প্রিজাইডিং অফিসার কেন্দ্রে কোনো ঝামেলা সামলাতে না পারে পুলিশকে অবহিত করবে। তারপরেও যদি সমস্যার সমাধান না হয় কেন্দ্র বন্ধ করে চলে যাবে। কালো টাকা গুণ্ডা-পাণ্ডা পেশি শক্তির কোনো ছাড় নেই। নির্বাচন কমিশনের অধীনে পুলিশ প্রশাসন, কমিউনিটি পুলিশ ভোটারদের মাইকিং করে কেন্দ্রে আসা ও যাওয়ার নিশ্চয়তা প্রদান করা হবে। ভোট কেন্দ্রে আসতে বাঁধা দিলে তাৎক্ষণিকভাবে সাজা দেওয়ার বিধান করা হয়েছে। এ জন্য যে সব এলাকায় বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া দরকার সে জন্য চাহিদানুযায়ী ফোর্স দেওয়া হবে।
শপথ নেওয়ার পর থেকে আমাদের একমাত্র লক্ষ্য এবং আন্তরিক প্রচেষ্টা একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন জাতিকে উপহার দেওয়া। উপস্থিত আইন-শৃংখলা বাহিনী এবং প্রশাসনের কর্মকর্তারা যেন কোনো প্রার্থীর পক্ষে দলীয় মনোভাব পোষণ, অতি উৎসাহী হয়ে এমন কোনো আচরণ না করেন যাতে নির্বাচনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে এবং নির্বাচন কমিশনের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়। কোনো প্রার্থীর বাড়িঘর-ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আক্রমণ হলে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে।
নির্বাচনে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে এ মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন বরিশাল, ঝালকাঠি ও পিরোজপুরের জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ তিন জেলার সব প্রার্থীরা।