জয় বাংলাদেশ: ব্যাংকের ভল্টে চার দশকের বেশি সময় অনাদরে পড়ে ছিল মুদ্রাটি। উত্তরাধিকারসূত্রে যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইওর তিন বোন সেটির মালিকানা পেয়েছিলেন। কয়েক বছর আগেও এ মুদ্রার প্রকৃত মূল্য সম্পর্কে তাঁদের ছিল না বিন্দুমাত্র ধারণা।
অতি বিরল এ মুদ্রা সান ফ্রান্সিসকোর ইউএস মিন্টে (টাঁকশাল) ১৯৭৫ সালে তৈরি। এটির মূল্য এখন ৫ লাখ মার্কিন ডলারের বেশি বলে জানিয়েছেন গ্রেটকালেকশনসের প্রেসিডেন্ট ইয়ান রাসেল। বাংলাদেশি টাকায় মুদ্রাটির মূল্য ৫ কোটি ৯০ লাখ টাকার বেশি (১ ডলার সমান ১১৮ টাকা হিসাবে)। গ্রেটকালেকশনস প্রতিষ্ঠানটি অনলাইনে মুদ্রার নিলাম করে থাকে।
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্কলিন ডি রুজভেল্টের মুখাঙ্কিত ওই মুদ্রা এত মূল্যবান হওয়ার কারণ, সেটিতে ‘এস’ চিহ্নটি নেই। সান ফ্রান্সিসকোর ইউএস মিন্টের হলমার্ক হলো এই ‘এস’। এই টাঁকশাল থেকে যেসব মুদ্রা তৈরি হয়, সেগুলোয় ‘এস’ অঙ্কিত থাকে। এই হলমার্ক ছাড়া তৈরি মুদ্রার মধ্যে এখন মাত্র দুটি অবশিষ্ট আছে। অন্যটি ২০১৯ সালে এক নিলামে ৪ লাখ ৫৬ হাজার ডলারে বিক্রি হয়। একজন মুদ্রা সংগ্রাহক সেটি কেনেন।
যাঁরা মুদ্রা সংগ্রহ করে থাকেন, বিরল মুদ্রা দুটি সম্পর্কে আগে থেকেই জানেন তাঁরা। কিন্তু গত শতকের সত্তরের দশকের পর থেকে মুদ্রা দুটির অবস্থান অজানা ছিল। ইয়ান রাসেল বলেন, কয়েক দশক ধরে সেগুলো লুক্কায়িত ছিল। বেশির ভাগ বড় মুদ্রা সংগ্রাহক ও যাঁরা মুদ্রা কেনাবেচা করেন, তাঁরাও পর্যন্ত বিরল পয়সা দুটি দেখেননি।
১৯৭৫ সালে সান ফ্রান্সিসকো টাঁকশাল ‘পরীক্ষামূলকভাবে’ বিশেষ ধরনের ২৮ লাখের বেশি মুদ্রা তৈরি করেছিল। সেখানে ছয় ধরনের মুদ্রা ছিল, সেগুলো সাত ডলারে বিক্রি হয়। কয়েক বছর পর মুদ্রা সংগ্রাহকেরা আবিষ্কার করেন, ওই সেটের মধ্যে দুটি পয়সায় টাঁকশালের হলমার্ক ‘এস’ চিহ্নটি নেই।
ইয়ান জানান, ওই তিন বোন তাঁদের ভাইয়ের মৃত্যুর পর সম্প্রতি হঠাৎই নিজেদের মালিকানায় থাকা ওই মুদ্রা সম্পর্কে জানতে পারেন। তাঁরা বলেন, তাঁদের ভাই ও মা ১৯৭৮ সালে ত্রুটিযুক্ত ওই মুদ্রা ১৮ হাজার ২০০ ডলারে কেনেন, যেটির বর্তমান দাম সর্বোচ্চ ৯০ হাজার ডলার হতে পারে বলে ধারণা ছিল তাঁদের।