জয় বাংলাদেশ : মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হিসাবে ভাইস প্রেসিডেন্ট কমালা হ্যারিসের মনোনয়নের পথ একটু একটু করে প্রশস্ত হচ্ছে । আগামী নভেম্বরে হতে যাওয়া মার্কিন নিবার্চনে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের পক্ষ থেকে কমলাকে জোরালো সমর্থন দেওয়ার পর তার নিবার্চন তহবিলে দ্রুত গতিতে অর্থ জমা পড়তে শুরু করেছে। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সরে দাড়াঁনোর ২৪ ঘন্টা পার না হতেই তার তহবিলে জমা পড়ে ৮১ মিলিয়ন ডলার। শুধুমাত্র প্রথম ১শ মিনিটে পেয়েছেন দেড় মিলিয়ন ডলার।
ডেমোক্র্যাট শিবির বলছে, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ইতিহাসে এর আগে কখনো এক দিনে এত অর্থ সংগৃহীত হয়নি। আর এই অর্থদাতাদের মধ্যে ৮ লাখ ৮৮ হাজার জন তৃণমূলের নেতা–কর্মী রয়েছেন। তাঁদের ৬০ শতাংশই ২০২৪ সালের নির্বাচনে প্রথমবারের মতো অর্থ দিয়েছেন।
এ পরিমাণ অর্থ জমা পড়ায় দলে এখন উৎসবমুখর পরিবেশ বিচরণ করছে। এছাড়া দাতাদের কাছ থেকে আশ্বাস পাওয়া গেছে দেড়শো মিলিয়ন সহায়তা। সব মিলিয়ে খুশি সমর্থকরা। জানা গেছে , গেল মাসে প্রেসিডেন্টসিয়াল বির্তকে বাইডেনের বাজে পারফরমেন্সের পর সবচেয়ে বেশি আর্থিক সংকটে পড়ে বাইডেনের তহবিল সংগ্রাহকরা। ঘোষণা দিয়েই অনেক ডেমোক্র্যাটিক দাতারা সরে যেতে শুরু করেন। তবে কমলা হ্যারিসকে সমর্থন দিয়ে বাইডেনের সরে যাবার পর মুহুর্তে পাল্টে যায় এ চিত্র। একদিকে, নতুন নতুন জরিপে কমলা হ্যারিসের জনপ্রিয়তা বাড়ছে অন্যদিকে তার পেছনে দাড়াঁচ্ছেন এমন কিছু গোষ্ঠী যারা বাইডেনের সময় হাত গুটিয়ে বসেছিলেন । সিবিএসের নতুন জরিপ বলছে, প্রতি দশ ডেমোক্র্যাটিক ভোটারের মধ্যে ৮ জনই চান হ্যারিস চুড়ান্তভাবে দল থেকে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হোন। এর প্রভাব পড়ছে নিবার্চনী তহবিলেও ।
হ্যারিস ক্যাম্পেইনের মুখপাত্র কেবিন মুনোজ বিষয়টি ঐতিহাসিক ঘটনা বলে আখ্যায়িত করেছেন। এ ঘটনা্য় উজ্জীবিত তার সমর্থকরাও। তারা মনে করছেন মানুষের ভালবাসা পাচ্ছেন হ্যারিস। প্রথম কোন কৃষ্ণাঙ্গরা হিসাবে প্রেসিডেন্ট পদে লড়বেন হ্যারিস। তাই নারীদের পাশাপাশি কৃষ্ণাঙ্গরা হ্যারিসের জন্য তহবিল সংগ্রহ শুরু করেছে । তবে স্যোসাল অ্যাক্টিভিস্টদের অনেকে মনে করছেন , অর্থ ব্যয়ের স্বচ্ছতা বাড়াতে পারলে এ সংগ্রহ আরো বাড়বে।