Tuesday, November 19, 2024
Google search engine
Homeআন্তর্জাতিকগাজা যুদ্ধ নিয়ে বাইডেন-নেতানিয়াহুর মতবিরোধ

গাজা যুদ্ধ নিয়ে বাইডেন-নেতানিয়াহুর মতবিরোধ

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু মঙ্গলবার বলেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ইসরায়েলের বিপুল সমর্থন গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে ‘সম্পূর্ণ বিজয় না হওয়া পর্যন্ত’ লড়াই করতে সহায়তা করবে।

এক বিবৃতিতে জরিপের উদ্ধৃতি দিয়ে নেতানিয়াহু বলেছেন, ৮০ শতাংশের বেশি মার্কিন নাগরিক গাজা যুদ্ধে ইসরায়েলকে সমর্থন করেন।

এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সতর্ক করে বলেছিলেন, যুদ্ধের কারণে বৈশ্বিক সমর্থন হারানোর ঝুঁকি রয়েছে ইসরায়েলের।

মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তারা সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতি চুক্তি নিয়ে কাজ করছেন।

মঙ্গলবার তার বিবৃতিতে নেতানিয়াহু বলেছেন, সংঘাতের শুরু থেকেই তিনি ‘সময়ের আগে যুদ্ধ শেষ করতে ও ইসরায়েলের জন্য সমর্থন জোগাড় করতে আন্তর্জাতিক চাপ মোকাবিলায়’ সংক্রান্ত একটি প্রচারণার নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন।

নেতানিয়াহু বলেন, ‘আমাদের এই ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য সাফল্য রয়েছে। সম্প্রতি হার্ভার্ড-হ্যারিস জরিপে দেখা গেছে ৮২ শতাংশ মার্কিন নাগরিক ইসরায়েলকে সমর্থন করে। তাদের এই সমর্থন আমাদের সম্পূর্ণ বিজয় না হওয়া পর্যন্ত অভিযান চালানোর অনুপ্রেরণা দেয়।’

গত সোমবার বাইডেন বলেছিলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আশা করছে গাজায় ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে ‘আগামী সোমবারের মধ্যে’ যুদ্ধবিরতি হবে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট পরে বলেছিলেন, ইসরায়েল যদি তাদের এই অবিশ্বাস্যভাবে রক্ষণশীল সরকারের সঙ্গে চলতে থাকে তাহলে বিশ্বের সমর্থন হারাতে পারে।

অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস ও নর্কের আরেকটি জরিপে দেখা গেছে, জানুয়ারিতে প্রায় অর্ধেক মার্কিন প্রাপ্তবয়স্কদের মতে, গাজা যুদ্ধে মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে ইসরায়েল। এর আগে গত বছরের জরিপ অনুসারে এই সংখ্যা ছিল ৪০ শতাংশ।

মঙ্গলবার হোয়াইট হাউজ ও স্টেট ডিপার্টমেন্টের কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন, অস্থায়ী যুদ্ধবিরতির বিষয়ে আলোচনা অব্যাহত রয়েছে। তবে আলোচনার বিষয়বস্তু বা সম্ভাব্য সময়রেখা সম্পর্কে বিশদ বিবরণ তারা দেয়নি।

হোয়াইট হাউজের ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের মুখপাত্র জন কিরবি বলেছেন, জিম্মিদের গাজা ছেড়ে যেতে ও মানবিক সহায়তার অনুমতি দেওয়ার জন্য গত সপ্তাহে একটি চুক্তি ‘উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি’ হয়েছে।

স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেছেন, মার্কিন কূটনীতিকরা কাতার, মিসর ও ইসরায়েলের সঙ্গে কাজ করছেন। তারা চুক্তিটিকে শেষ পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -
Google search engine

নতুন সংবাদ

Recent Comments