ভারতের দিল্লিতে চারপাশ ছেয়ে গেছে ঘন কুয়াশায়। দৃশ্যমানতা মাত্র ৫০ মিটার। তবে শুধু দিল্লি নয়, পা়ঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ-সহ উত্তর ভারতের সর্বত্রই ছেয়ে গেছে ঘন কুয়াশায়। অন্যদিকে পাতিয়ালা, লখনউ, প্রয়াগরাজে দৃশ্যমানতা ছিল ২৫ মিটার এবং অমৃতসরে ছিল শূন্য। সেখানে দেখা যাচ্ছে না কিছুই। আজ বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) ডয়চে ভেলের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
দিল্লিতে সফদরজঙ্গ অবসারভেটারি জানিয়েছে, সেখানে মাত্র ৫০ মিটার পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে। পালামে ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দেখা যাচ্ছে ১২৫ মিটার পর্যন্ত। চিত্তরঞ্জন পার্কের মতো যে সব জায়গায় সাধারণত কুয়াশা খুব বেশি হয় না, সেখানেও ঘন কুয়াশার আবরণ রয়েছে। কিছুটা দূরের জিনিস দেখা যাচ্ছে না।
এর সঙ্গে বায়ুদূষণের মাত্রাও বেড়েছে। দিল্লিতে সকালে গড় একিউআই বা বায়ুদূষণের পরিমাণ ছিল ৩৮১, যা খুবই খরাপ। দিল্লি বিমানবন্দর থেকে যাত্রীদের জানানো হয়েছে, বিমানের ওঠা-নামার ক্ষেত্রে দেরি হতে পারে। মঙ্গলবার ৩০টি বিমান অনেক দেরিতে চলেছে। উত্তরভারত থেকে আসা ট্রেনগুলি প্রচুর দেরিতে চলছে।
দিল্লিতে এমনিতেই সর্বনিম্ন তাপমাত্রা পাঁচ থেকে সাতের মধ্যে ঘোরাফেরা করছে। এবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও অনেকটা কমে যেতে পারে। বছরশেষে বা নতুন বছরের গোড়ায় দিল্লিতে বৃষ্টি হয়। সেটা হলে তাপমাত্রা অনেকখানি কমে যায়।
২০২৩ সালে দিল্লি প্রবল ধোঁয়াশার কবলে পড়েছিল। বছরশেষেও কুয়াশা ও ধোঁয়াশার হাত থেকে উদ্ধার পেল না রাজধানী।
দিল্লির বাসিন্দা সলিল নন্দী ডিজাব্লিউকে বলেছেন, ‘আমরা তো ধোঁয়াশা ও কুয়াশা নিয়েই বেঁচে আছি। এই কুয়াসা এখন দিন কয়েক চলবে। আমরা অভ্যস্ত হয়ে গেছি।’ সলিল জানিয়েছেন, ‘এর সঙ্গে আরেকটা কথা বলতে হবে, বছর ৩৫ আগে দিল্লিতে যেরকম ঠান্ডা পড়ত, এখন আর সেরকম পড়ে না। তখন অক্টোবর হলেই কাঁপতে হত। এই বছর তো এখনো সেরকম ঠান্ডা পড়েনি।’
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এই সময় খুবই সতর্ক থাকতে হবে। চিকিৎসক পার্থপ্রতীম বোস ডিডাব্লিউকে আগেই জানিয়েছিলেন, ‘এই সময় যেন মর্নিং ওয়াক না করা হয়। রোদ উঠলে তখন হাঁটা সবচেয়ে ভালো। তাছাড়া শীত ও দূষণ যুক্ত হওয়ায় এই, সময় শ্বাসকষ্টের রোগ অনেকটাই বেড়ে য়ায়। সেজন্য স্টিম ও গার্গল নিয়মিত করা উচিত।’