দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ‘পাতানো’ অ্যাখ্যা দিয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, জোর-জবরদস্তির নির্বাচন করে দেশের বিপদ ডেকে আনবেন না। জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করে ক্ষমতা ধরে রাখা যাবে না।
এসময় তিনি ‘ডামি’ একতরফা নির্বাচনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে সব পর্যায়ের মানুষকে ভোট বর্জনের আহ্বান জানান।
বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) সকালে উত্তরা রাজউক মডেল কলেজের সামনে ভোট বর্জন ও অসহযোগ আন্দোলনের পক্ষে লিফলেট বিতরণ শেষে এ আহ্বান জানান তিনি। পরে বিকালে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি।
এসময় তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে যে সেটআপ আছে, সেটা দিয়ে কখনোই অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। এখানে যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, সিভিল প্রশাসন, নির্বাচন কমিশন—এটা সাজানো সেটআপ। এই সেটআপ দিয়ে অংশগ্রহণমূলক ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন হবে না। এটা এখন প্রতিদিন প্রমাণিত হচ্ছে।’
‘নির্বাচন কমিশনারদের কথাবার্তা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকাণ্ড দেখে বোঝা যাচ্ছে যে তারা নিজেরাই নির্বাচন করিয়ে দিতে চাচ্ছে’, বলেন তিনি।
রিজভী আরও বলেন, ‘দেশের ৬৩টি দল এই তামাশার নির্বাচন বর্জন করেছে। আমাদের নির্বাচন বর্জনের ডাক সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর আলী রীয়াজ বলেছেন যে নাগরিকদের একটি বড় অংশ নির্বাচন বর্জন করেছে। সরকার দলগুলোর দাবি পূরণ করেনি।’
বিএনপির পরবর্তী কর্মসূচি সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘ভোটের আগের দিন ৬ জানুয়ারি শনিবার সকাল ৬টা থেকে ভোটের পরদিন সোমবার সকাল ৬টা পর্যন্ত দেশব্যাপী ৪৮ ঘণ্টার হরতাল পালিত হবে।’