জয় বাংলাদেশ : যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যে ভোটারের সংখ্যা বেড়ে রেকর্ড ছুঁয়েছে। দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্য হিসেবে বিবেচিত জর্জিয়ায় মঙ্গলবার আগাম ভোট গ্রহণ শুরু হয়। ভোট গ্রহণের প্রথম দিনেই ২০২০ সালের নির্বাচনের তুলনায় দ্বিগুণ ভোটারের ব্যালট জমা নেওয়া হয়েছে। অঙ্গরাজের কর্মকর্তারা এমনটা জানিয়েছেন।
আগামী ৫ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী বর্তমান মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস। তাঁর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। দুই প্রার্থীর মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলছে। এমন পরিস্থিতিতে দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যগুলোর ভোট দুই প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণে বড় ভূমিকা পালন করবে।
জর্জিয়ার নির্বাচন কর্মকর্তা গ্যাব্রিয়েল স্টার্লিং বলেন, স্থানীয় সময় গতকাল বিকেল ৪টা পর্যন্ত আগাম ভোটের কেন্দ্রগুলোয় অন্তত ২ লাখ ৫২ হাজার ভোট গ্রহণ করা হয়েছে, যা ২০২০ সালের একই সময়ের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ। ওই সময় ১ লাখ ৩৬ হাজার ভোট গ্রহণ করা হয়েছিল। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিনি লিখেছেন, ‘এটি চমকপ্রদ অংশগ্রহণ।’
ডোনাল্ড ট্রাম্প আটলান্টায় অনুষ্ঠিত এক নির্বাচনী সমাবেশে জর্জিয়ার আগাম ভোট নিয়ে ব্যাপক উৎসাহ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘ভোট আসতে শুরু করেছে, আর আমাদের জন্য বেশ ভালো হারেই আসছে।’
যুক্তরাষ্ট্রে আগাম ভোট ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। সরাসরি ভোটকেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে কিংবা মেইলের মাধ্যমে এ ভোটে অংশ নেওয়া যায়। ফ্লোরিডা বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচন ল্যাবের তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ সালের নির্বাচনে প্রতি সাতজন ভোটারের একজন আগাম ভোট দিয়েছিলেন।
যদিও ওই বছর রিপাবলিকানদের অনেকে নাটকীয়ভাবে মেইলে ভোট দেওয়ার পরিসর বাড়ানোর বিরোধিতা করেছিলেন। তাঁরা বলেছিলেন, এটি সরাসরি ভোটের চেয়ে কম নিরাপদ। ওই বছর জো বাইডেনের কাছে নির্বাচনে হেরে মেইলে ভোট জালিয়াতির মিথ্যা অভিযোগ তুলেছিলেন ট্রাম্প।
অনেক রিপাবলিকান বারবার জোর দিয়ে বলছেন যে নির্বাচনের দিন ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে উপস্থিত হয়েই ভোট দেওয়া উচিত। যদিও দলের কর্মকর্তারা সমর্থকদের আগে ভোট দেওয়ার জন্য উৎসাহ দিচ্ছেন।
নির্বাচন ল্যাবের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছর যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে এরই মধ্যে ৫৫ লাখ ভোটার ভোট দিয়েছেন। ২০২০ সালের এ সময় ভোট দিয়েছিলেন ২ কোটি ৭০ লাখ জন। মূলত করোনা মহামারির কারণে নির্বাচন কেন্দ্রগুলোয় ভিড় এড়াতেই সে বছর আগাম ভোটের সংখ্যা এত বেশি ছিল।
অন্যান্য অঙ্গরাজ্যের মতো জর্জিয়ায় মেইলে ভোট দেওয়ার আইন আরও পাকাপোক্ত করা হয়েছে। কেন্দ্রে না গিয়েই যাঁরা ভোট দিতে ইচ্ছুক, তাঁদের পরিচয়পত্রের প্রমাণ দিতে হবে। পাশাপাশি একজন ব্যালট জমা দেওয়ার স্থানও কমানো হয়েছে।