সোমালিয়া উপকূলে পৌঁছানোর পর জিম্মি করা জাহাজ এমভি আবদুল্লাহের নাবিকদের ব্রিজ রুম থেকে কেবিনে যাওয়ার সুযোগ দিয়েছে জলদস্যুরা। আজ বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) বিকাল ৪টা ৪৫ মিনিটের দিকে নিজের ছোট ভাইকে ভয়েস মেসেজে এ তথ্য জানান জাহাজটির একজন নাবিক। তবে নিরাপত্তাজনিত কারণে তার নাম ও পরিচয় প্রকাশ করা হচ্ছে না।
এর আগে গত মঙ্গলবার দুপুরে জাহাজটি জিম্মি করার পর থেকে ২৩ জন নাবিককে জাহাজের ব্রিজ রুমে বন্দী করে রাখে জলদস্যুরা।
ভয়েস মেসেজের শুরুতে ওই নাবিক বলেন, ‘আমরা ভালো আছি, সুস্থ আছি। কিন্তু মানসিকভাবে একটু বিপর্যস্ত। গতকাল একটা নেভি জাহাজ এসেছিল। আজকেও একটা নেভি জাহাজ এসেছিল। মোট দুটি সুসজ্জিত জাহাজ আমাদের রেসকিউ করতে চেয়েছিল।’
‘কিন্তু, এটা সম্ভব না’ জানিয়ে তিনি বলেছেন, ‘কারণ, তখন ওরা (জলদস্যুরা) আমাদের জিম্মি করে রাখে, আমাদের মাথায় বন্দুক ধরে রাখে। নেভির বড় বড় ফ্রিগেট দেখেই ওরা আমাদের জিম্মি করে। এসব বড় জাহাজ দেখেও ওরা ভয় পায় না। কারণ, আমাদের জিম্মি করে রাখে।’
এখন পর্যন্ত জলদস্যুরা কাউকে আঘাত করেনি উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, ‘তবে, আমি যেখানে ঘুমাই, সেখানে পাশ ফিরলেই দেখতে পাই যে আমার দিকে বড় বড় মেশিনগান তাক করে রেখেছে। এই অবস্থায় ঘুম যা হওয়ার হচ্ছে। তারপরও মানসিকভাবে চাপে থাকলেও সুস্থ থাকার চেষ্টা করছি।’
জাহাজে থাকা খাবার তাদের সঙ্গে জলদস্যুরাও খাচ্ছে। এর ফলে দ্রুত সময়ের মধ্যে তা শেষ হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
সোমালিয়া উপকূলে পৌঁছানোর পর নাবিকদের সঙ্গে জলদস্যুদের ভালো সম্পর্ক গড়ে ওঠে জানিয়ে ভয়েস মেসেজে তিনি বলেন, ‘আজকে আমরা সোমালিয়া এলাম। ওদের সঙ্গে আমাদের একটু ভালো রিলেশন হয়েছে। ওদের বলে-কয়ে আমরা একটু কেবিনে এলাম। কিন্তু আবার ব্রিজে চলে যেতে হবে।’