জয় বাংলাদেশ: মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিজয়ের অর্থ হচ্ছে- ভলোদিমির জেলেনস্কি শিগগিরই ক্ষমতা থেকে সরে যাবেন, যা ইউক্রেনের জন্য মঙ্গল বয়ে আনবে। ইউক্রেনের ‘নির্বাসিত’ আইনপ্রণেতা (এমপি) আর্তিওম দিমিত্রুক এ মন্তব্য করেছেন।
ইউক্রেনের অর্থোডক্স চার্চের বিরুদ্ধে কিয়েভের দমনপীড়নের বিরুদ্ধে প্রকাশ্য অবস্থান নেওয়ার পর নিজের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত- এই বলে চলতি বছরের শুরুর দিকে দেশ থেকে পালিয়ে যান এই এমপি। তিনি যুক্তরাজ্যে গিয়েও বর্তমানে ইউক্রেন সররকারের রোষানলে রয়েছেন। জেলেনস্কির সরকার তাকে দেশে ফেরাতে চায়।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) আরটি’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে দিমিত্রুক বলেন, ইউক্রেনের নেতা (জেলেনস্কি) একজন রাজার মতো ‘সন্ত্রাসী সংগঠনের’ নেতৃত্ব দিচ্ছেন। বর্তমান সরকার ইউক্রেনীয়দের জীবনের তোয়াক্কা করে না, রাজনৈতিক বিরোধীদের নিপীড়ন করে। কেবল দুর্নীতির মাধ্যমে কর্মকর্তারা সমৃদ্ধ হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘এই ব্যক্তি (জেলেনস্কি) ইউক্রেনে ডাকাতি করা আগের সব প্রেসিডেন্টের চেয়ে বেশি চুরি করেছে। তার টাকায় নিশ্চয়ই যে কারও চেয়ে বেশি রক্ত লেগে আছে।’
দিমিত্রুক মনে করেন, জেলেনস্কির দল ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের জয়ের ওপর ভরসা করছিল। তিনি ট্রাম্পের বিজয়কে ‘তাদের ক্ষমতা শেষ হয়ে যাওয়ার স্পষ্ট সংকেত’ হিসেবে দেখছেন।
তিনি আরও বলেন, জেলেনস্কিকে অবশ্যই যেতে হবে (ক্ষমতা ছাড়তে হবে)। আমি বলছি, জেলেনস্কির হাত থেকে ইউক্রেনকে মুক্ত করুন। এটাই আমার মূল রাজনৈতিক স্লোগান।
ইউক্রেনীয় এমপি বলেন, একজন নাগরিক হিসেবে আমি চাই ইউক্রেন ইস্যুর সিদ্ধান্ত ইউক্রেন নিজেই করুক। সার্বভৌমত্ব…দুর্ভাগ্যবশত, এখন আমাদের সিদ্ধান্ত নিচ্ছে অন্যরা (অন্য দেশগুলো)।
দিমিত্রুক আশা করেন না ট্রাম্প ‘২৪ ঘন্টার মধ্যে’ সংঘাতের অবসান ঘটাবেন, যেটা মার্কিন নেতা নির্বাচিত হলে করবেন বলেছিলেন। তবে তার কথাটি একটি শান্তি চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য প্রতিশ্রুতি দেওয়ার একটি শক্তিশালী উৎসাহ।