নোবেলজয়ী অধ্যাপক গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে জেলে এমনকি রিমান্ডে যেতে হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তার কৌঁসুলি ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন।
মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) সুপ্রিম কোর্টে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এই আশঙ্কার কথা ব্যক্ত করেন।
ব্যারিস্টার মামুন বলেন, যতই অপমান করা হোক না কেন ড. ইউনূস আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। যেহেতু আমরা এদেশের নাগরিক সেহেতু আমাদেরকে অবশ্যই আইনের প্রক্রিয়ায় যেতে হবে। কোনো ধরনের আইনি প্রক্রিয়ায় যাব সেটা ড. ইউনূসের সঙ্গে পরামর্শ করেই সিদ্ধান্ত নেব।
তিনি বলেন, উনাকে (ড. ইউনূস) আমি বলেছি আপনাকে জেলে যেতে হতে পারে। পুলিশে নেবে, এমনকি আপনাকে রিমান্ডেও নিতে পারে। উনি বলেছেন- আমি দরিদ্র মানুষের জন্য যে সংগ্রাম করে যাচ্ছি এজন্য যে প্রতিকূল পরিস্থিতিই আসুক তা হাসিমুখে মেনে নেব। পিছপা হব না।
ব্যারিস্টার মামুন বলেন, একের পর এক মামলা করে ড. ইউনূসকে হেয় করার চেষ্টা করা হচ্ছে। সামাজিক ব্যবসাকে ধ্বংস করার নীল নকশা হিসাবে এই মামলা করা হয়েছে। দুই পক্ষের সমঝোতা চুক্তির আওতায় ৪২৯ কোটি টাকা শ্রমিকদের দেওয়া হয়েছে। এখানে আমরা কীভাবে অর্থ আত্মসাৎ করলাম।
প্রসঙ্গত, সোমবার (২৯ জানুয়ারি) ড. ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে অর্থ পাচার মামলায় চার্জশিট দিয়েছে দুদক। ইতিমধ্যে শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. ইউনূসসহ চারজনকে ৬ মাসের কারাদণ্ড এবং ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালত। এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে ৩ মার্চ পর্যন্ত জামিন পেয়েছেন তিনিসহ ৪ আসামি।