মিয়ানমারের রাখাইন থেকে থেমে থেমে ভেসে আসছে বিস্ফোরণের বিকট শব্দ। শুক্রবার ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তবর্তী জেটিঘাট, সাবরাং, নাইট্যং পাড়া, পৌরসভা, সদর, হ্নীলার দমদমিয়া এলাকা থেকে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যাচ্ছে।
টেকনাফ জেটিঘাটের জেলে সৈয়দ হোসাইন জানান, বিকট শব্দে ভয়ে তিনদিন ধরে মাছ ধরতে যেতে পারছেন না। রাখাইনে দিন-রাত বিস্ফোরণ হচ্ছে। সন্ধ্যা হলে মর্টারশেলের আগুন দেখা যায়।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আদনান চৌধুরী বলেন, রাখাইনে চলমান সংঘাত তাদের দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়। তবে দেশে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। বিজিবি ও কোস্ট গার্ড সদস্যরা সর্তক পাহারায় রয়েছেন।
২০১৭ সালের আগস্টে রাখাইনের রোহিঙ্গা অধ্যুষিত গ্রামগুলোয় অভিযান শুরু করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। গণহত্যা, ধর্ষণ, লুটপাট ও বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগের শিকার হয়ে প্রাণ বাঁচাতে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে দলে দলে বাংলাদেশে আসতে থাকে রোহিঙ্গারা। ওই সময় ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গা সীমান্ত পাড়ি দিয়ে আশ্রয় নেয় বাংলাদেশে। তারা বর্তমানে টেকনাফ, উখিয়া ও নোয়াখালীর ভাসানচর আশ্রয়শিবিরে বসবাস করছে।
জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর বলেছে, রাখাইনে যুদ্ধের জেরে বর্তমানে মংডু ও বুথিডংয়ে ৭০ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা আটকে পড়েছেন।