জয় বাংলাদেশ: রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ কমলা হ্যারিসকে হারিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিজয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং বাকি বিশ্বের জন্য এক বিপজ্জনক নতুন যুগের সূচনা করতে পারে। রয়টার্সের একটি বিশ্লেষণী প্রতিবেদনে এমন উদ্বেগের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
যদিও সাবেক এই মার্কিন প্রেসিডেন্ট বুধবার (৬ নভেম্বর) তার তৃতীয় নির্বাচনী প্রচারণার মাধ্যমে পাওয়া বিজয়ের পর বলেছেন, ‘‘আমেরিকার সোনালী যুগের’’ সূচনা হচ্ছে।
কিন্তু বিভিন্ন আন্তর্জাতিক কর্পোরেশন ও বিনিয়োগকারীদের জন্য এই বিজয় যেকোনো স্বল্পমেয়াদি সুবিধা নিয়ে এলেও ট্রাম্পের কর্তৃত্ববাদী প্রবণতা এবং মার্কিন নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক ব্যবস্থাকে আরও বেশি প্রশ্নের মুখে ফেলতে পারে। এই জয় ইতোমধ্যেই ভঙ্গুর বৈশ্বিক ভারসাম্যকে আরও বিপদের দিকে ঠেলে দিয়েছে।
আগামী চার বছরে যুক্তরাষ্ট্রে শুল্ক কমানো, নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর শক্ত পদক্ষেপ, এবং আদালতের অনুকূল সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয়গুলো ব্যবসায়িক দৃষ্টিকোণ থেকে জটিলতার সৃষ্টি করতে পারে।
এছাড়া কর্পোরেট করের হার আগামী বছর ২১ শতাংশের বেশি করার সম্ভাবনা কার্যত নেই। যদিও কমলা হ্যারিস করের হার ২৮ শতাংশে উন্নীত করতে চেয়েছিলেন, সিনেটে রিপাবলিকান পার্টি সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ায় সেটি আর সম্ভব হচ্ছে না।
রিপাবলিকানদের প্রথম মেয়াদে অ্যাফোর্ডেবল কেয়ার অ্যাক্ট সংশোধনের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছিল। বিভক্ত সরকার এবারও সেটি করা আরও কঠিন করে তুলবে। তবে নতুন নিয়োগপ্রাপ্তরা ব্যাংকিং খাত ও বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোকে বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসনের তুলনায় আরও বেশি বন্ধুত্বপূর্ণভাবে পরিচালনা করতে পারেন। এদিকে ট্রাম্পের শাসনামলে ক্রিপ্টো শিল্প বহুল প্রত্যাশিত বৈধতা পেতে পারে।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয়ের প্রভাবে ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের শেয়ার বাজারে ডলার ও বিটকয়েনের দর বেড়ে গেছে। মার্কিন নেতৃত্বে পুরো বিশ্বের অর্থনীতি, সংঘাত, এবং বাজার ব্যবস্থার ওপর এই নির্বাচনের প্রভাব হবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যা সারা বিশ্বেই প্রভাব ফেলতে পারে।