জেবি টিভি রিপোর্ট : যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মামলা করা জ্যাক স্মিথের নিয়োগ সংবিধানসম্মত ছিল না –এই যুক্তিতে মামলাটি খারিজ করেছেন বিচারক। যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় গোপন নথি নিজ বাড়িতে রাখার অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলা খারিজ করেছেন এই মামলা তদারককারী বিচারক।
যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা রাজ্যের ডিস্ট্রিক্ট আদালতের বিচারক অ্যালিন ক্যানন সোমবার এক রায়ে গোটা মামলাটিই খারিজ করে বলেছেন,এই মামলা যিনি করেছিলেন, সেই বিশেষ কাউন্সেল জ্যাক স্মিথের নিয়োগ সংবিধানসম্মত ছিল না।
প্রেসিডেন্ট বিশেষ কাউন্সেল এর পদে স্মিথের নাম ঘোষণা করেননি কিংবা সিনেটও তার নিয়োগ নিশ্চিত করেনি। ফলে তার নিয়োগ বৈধ নয় এবং তা সংবিধানের নিয়োগ সংক্রান্ত বিধির লঙ্ঘনও।
বিচারক ক্যানন খুবই আকস্মিকভাবে এমন একটি ফৌজদারি মামলার এই বিস্ময়কর রায় দিলেন, যে মামলাটি রিপাবলিকান সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের জন্য নির্বাচনের এই সময়ে সব আইনি হুমকির মধ্যে সবচেয়ে বিপজ্জনক হিসাবেই দেখা হচ্ছিল।
উইসকনসিনে রিপাবলিকান দলের জাতীয় সম্মেলন শুরু হয়েছে সোমবার। সম্মেলনের প্রথম দিনেই এল ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মামলা খারিজের এই রায়।
ট্রাম্প একজন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়মুক্তি পাওয়ার অধিকার রাখেন এই যুক্তিতে ফেডারেল আদালতে গোপন নথি মামলা খারিজের আবেদন করেছিলেন আইনজীবীরা।
ট্রাম্প চেয়েছিলেন এই মামলায় বিচার ২০২৪ সালের নভেম্বরে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পরে করা হোক। যদিও নির্বাচনের আগে বিচারের সম্ভাবনা ছিল কমই।
এর মধ্যে বিচারক ক্যাননের রায়ে ট্রাম্পের একটি বড় আইনি হুমকি দূর হল। তবে বিশেষ কাউন্সেল জ্যাক স্মিথের টিম যে এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবে সেটি একরকম নিশ্চিত।
ট্রাম্পের ফ্লোরিডার বাড়ি মার-এ-লাগোতে তল্লাশি চালিয়ে গতবছর বহু গুরুত্বপূর্ণ ও গোপন রাষ্ট্রীয় নথি জব্দ করা হয়। এসব নথির মধ্যে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ এবং এফবিআই এর জাতীয় নিরাপত্তা–সংক্রান্ত নথিও ছিল।
হোয়াইট হাউস ছাড়ার পর রাষ্ট্রীয় এসব গোপন নথি নিজের কাছে রেখে দেওয়ার কারণে গতবছর জুনে অভিযুক্ত হন ট্রাম্প। এই নথিগুলো উদ্ধার করতে আসা কর্মকর্তাদেরকে ট্রাম্প মিথ্যা বলেছিলেন বলেও অভিযোগ আছে।
তবে এ সব অভিযোগেই ট্রাম্প দোষ অস্বীকার করেছেন। অন্য আরও ৩৭ টি অভিযোগেও ট্রাম্প দোষ অস্বীকার করেছেন। কিন্তু প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রার্থী হওয়ার দৌড়ে নামা ট্রাম্পের জন্য এসব মামলাই একের পর এক আইনি ধাক্কা।
সাবেক পর্নো তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে অর্থ দেওয়ার মামলায় ট্রাম্প বিচারে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। আবার ক্যাপিটল হিলে ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারির দাঙ্গা এবং ২০২০ সালের নির্বাচনী ফলকে চ্যালেঞ্জ করার চেষ্টার ঘটনায়ও মামলার মুখে আছেন ট্রাম্প।