এবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ভেতরে ঢুকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের পিটিয়েছে ছাত্রলীগ।
সোমবার (১৫ জুলাই) সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে লাঠিসোঁটা নিয়ে ২০-২৫ জন ছাত্রলীগ নেতা-কর্মী হাসপাতালের ইমার্জেন্সিতে ঢুকে পড়ে। এ সময় চিকিৎসাধীন আহতদের সঙ্গে থাকা শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করে ছাত্রলীগ।
পরে অনেকে ভয়ে হাসপাতালের বিভিন্ন কক্ষে আশ্রয় নেন। আনসার সদস্যরা মাইকিং করে ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের বের হয়ে যেতে বলে।
প্রায় ১০ মিনিট মারধরের পর ৭টা ২৭ মিনিটে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা হাসপাতাল থেকে বের হয়ে যায়। এরপর হাসপাতাল ভবনের দরজা বন্ধ করে দেয় হাসপাতালের কর্মীরা।
এর আগে বিকাল সাড়ে তিনটায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জসীমউদ্দীন হলের মাঠে বিজয় একাত্তর হল, মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল, কবি জসীমউদ্দিন হল, সূর্যসেন হল শাখা ছাত্রলীগের সঙ্গে কোটাবিরোধী শিক্ষার্থীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় হলের ভেতর থেকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ইট পাটকেল ছুঁড়তে থাকে। হকিস্টিক, রড, লাঠি, হেলমেটসহ মারমুখী অবস্থায় থাকতে দেখা যায়। এতে সাংবাদিকসহ কোটা আন্দোলনকারীদের কয়েকজন আহত হন।
এছাড়া ঢাবির উপাচার্য ভবনের সামনে ছাত্রলীগের হামলায় অর্ধশতাধিক আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। রাজু ভাস্কর্য ছেড়ে ভিসি চত্বরের সামনে গেলে আজ বিকাল সাড়ে ৩টা থেকে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা চালায় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। এ সময় অনেকের হাতে লাঠিসোঁটা ও মাথায় হেলমেট দেখা গেছে। একইভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলপাড়ায় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রলীগের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে।