Tuesday, November 19, 2024
Google search engine
Homeআন্তর্জাতিকতুর্কি কৃষকদের শোচনীয় অবস্থা

তুর্কি কৃষকদের শোচনীয় অবস্থা

দীর্ঘদিন ধরে চলমান মুদ্রাস্ফীতি ও অপর্যাপ্ত রাষ্ট্রীয় সহযোগিতায় তুর্কি কৃষকদের অবস্থা বেশ শোচনীয়। রাষ্ট্রীয় সহযোগিতার অভাবে টিকে থাকতে অধিকাংশ কৃষক ঋণ করতে বাধ্য হচ্ছেন।

সম্প্রতি তুরস্কের প্রতিবেশী ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোতে কৃষকেরা রাস্তায় নেমে ট্র্যাক্টর দিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে প্রতিবাদ করেছে। তুরস্কের কৃষকেরা এখনো রাস্তায় না নামলেও রাষ্ট্রীয় ভর্তুকি নিয়ে তারা চরম অসন্তুষ্ট।

তুরস্কের কৃষি খাতের প্রতিনিধিরা বলছেন পোল্যান্ড, জার্মানি ও অন্যান্য দেশের তুলনায় তারা অনেক খারাপ অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন।

দেশটির চেম্বার অব এগ্রিকালচারাল ইঞ্জিনিয়ার্সের সভাপতি বাকি রেমজি সুইচমেজ বলেন, ‘ইউরোপে কৃষকদের বিক্ষোভের অন্যতম কারণ ছিল ডিজেলের জন্য ভর্তুকি কমানো। কিন্তু তুরস্কে ডিজেলের জন্য আলাদা কোনো কর সুবিধাই নেই।’

সুইচমেজ আরও বলেন, ‘মুদ্রাস্ফীতি বেড়ে এখন প্রায় ৭০ শতাংশের কাছাকাছি। এ মুহূর্তে শুধু আর্থিক সহায়তাই কৃষকদের জন্য যথেষ্ট নয়।’

চলমান সংকট কাটাতে কৃষকদের সহায়তার জন্য তুর্কি কৃষি মন্ত্রণালয় ২০২৪ সালে তাদের বাজেট ৪৪.৫ শতাংশ বৃদ্ধি করেছে।

তুরস্কের ‘চেম্বার অব এগ্রিকালচারাল ইঞ্জিনিয়ার্সের’ তথ্য অনুসারে, দেশটিতে কৃষি পণ্য সরবরাহের খরচও দিন দিন বাড়ছে। উদাহরণস্বরূপ, কৃষিতে ব্যবহৃত ডিজেলের দাম গত বছর ৭৬ শতাংশ ও সারের দাম ২৫ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে।

তুরস্কের আর্থিক সংকট ইউরোপের বর্তমান মুদ্রাস্ফীতির সমস্যার চেয়ে দীর্ঘদিন ধরে চলছে। গত কয়েক বছরে তুর্কি লিরার মূল্য নাটকীয়ভাবে কমে গেছে। তুরস্কের সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২৩ সালে তুরস্কে বার্ষিক মুদ্রাস্ফীতি ছিল ৬৪ শতাংশ, যা জার্মানিতে ছিল প্রায় ৫.৯ শতাংশ। ২০১৪ সালে যেখানে ১ ইউরোর বিপরীতে ২.৯৩ লিরা ছিল, বর্তমানে তা ৩৪ লিরা পর্যন্ত পৌঁছেছে।

গত বছর কৃষকদের ৮০ শতাংশ ব্যাংক ঋণ বেড়েছে। সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, কৃষকদের কাছে ব্যাংকগুলোর পাওনা ১৯ বছর আগের চেয়ে ১১৮ গুণ বেশি। অপরদিকে একই সময়ের মধ্যে আর্থিক সহায়তার পরিমাণ তেমন বাড়েনি।

তুরস্কের প্রধান বিরোধী দল রিপাবলিকান পিপলস পার্টি (সিএইচপি) এর সংসদ সদস্য ওরহান সারিবাল বলেন, ‘২০০৪ সালে কৃষি, বন ও প্রাণীসম্পদ উৎপাদনের জন্য ব্যবহৃত ঋণের পরিমাণ রাষ্ট্রীয় প্রণোদনার চেয়ে ১.৭ গুণ বেশি যা ২০২৩ সালে এসে ৯.৬ গুণ বেড়েছে।’

সরকারের কাছ থেকে কৃষকেরা পর্যাপ্ত সহায়তা পাচ্ছেন না বলেই তারা ঋণ নিতে বেসরকারি ব্যাংকের দিকে ঝুঁকছেন বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -
Google search engine

নতুন সংবাদ

Recent Comments