জয় বাংলাদেশ: যুক্তরাষ্ট্রের রাজস্ব দপ্তরের ডেপুটি আন্ডার সেক্রেটারি ব্রেন্ট নেইম্যানের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল আগামীকাল শনিবার তিনদিনের সফরে ঢাকায় আসছে। এ প্রতিনিধি দলে থাকছেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু ও ইউএসএইডের এশিয়াবিষয়ক উপসহকারী প্রশাসক অঞ্জলি কৌর।
তবে তারা ওয়াশিংটন থেকে সরাসরি ঢাকা আসছেন না, দিল্লি হয়েই আসছেন। ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের মুখপাত্রের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী লু এখন ভারতে অবস্থান করছেন। সেখানে ওয়াশিংটন-দিল্লি প্রতিরক্ষাবিষয়ক ইন্টারসেশনাল সংলাপে যৌথভাবে সভাপতিত্ব করবেন লু। তারপর প্রতিনিধি দলটি ঢাকায় আসবে শনিবার। ১৬ সেপ্টেম্বর তাদের ঢাকা ছাড়ার কথা রয়েছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস , পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন, অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দীন আহমেদ ও পররাষ্ট্রসচিব মো. জসীম উদ্দিনের সঙ্গে মার্কিন প্রতিনিধিদের বৈঠক অনুষ্ঠানের কথা রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে আলোচনার বিষয়ে জানতে চাইলে বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় পররাষ্ট্রসচিব মো. জসীম উদ্দিন বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদল ঢাকায় আসছে।এটা বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে যুক্তরাষ্ট্র যে গুরুত্ব দেয়, তার একটা বড় প্রতিফলন।আলোচনায় গুরুত্ব পাবে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারে। এছাড়া বাংলাদেশ যেন ঘুরে দাঁড়াতে পারে, তাই বাংলাদেশের বর্তমান সংকট উত্তরণের চাহিদাগুলো জানতে চাইবে ওয়াশিংটন।
দেশ অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংকটের ভেতর দিয়ে যাচ্ছে, এমন প্রেক্ষাপটেও মার্কিন দলটির সফর গুরুত্বপূর্ণ, এমন মন্তব্য করে হুমায়ূন কবির বলেন, লু বাদে এই দলে অন্যরা আর্থিক ও অর্থনৈতিক খাতের প্রতিনিধি।
কাজেই ব্যাংক খাতে সংস্কার, পাচার হওয়া টাকা ফেরত আনা, দুর্নীতি দূর করা, বিশ্বব্যাংক ও আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিল (আইএমএফ) থেকে ঋণ পাওয়া, পুলিশ ও বিচারব্যবস্থা, প্রশাসনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কারের জন্য সহায়তা পাওয়া–এমন বহু ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক, কারিগরি ও আর্থিক সমর্থন বাংলাদেশের দরকার হবে।
এই সফর থেকে বাংলাদেশ কী আশা করছে, এমন প্রশ্নে পররাষ্ট্রসচিব গতকাল বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নেওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের দিক থেকে এই সফরে বোঝা যায়, তারা এই সম্পর্ককে গুরুত্ব দেয়। আর প্রতিনিধিদলের গঠন থেকে বোঝা যায় তাদের সঙ্গে আলোচনা বহুমাত্রিক হবে।