সোমালিয়ার জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্ত বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে পৌঁছেছে। রোববার (২১ এপ্রিল) স্থানীয় সময় বিকালে জাহাজটি দুবাইয়ের আল হামরিয়া বন্দরে নোঙর করে। এসময় জাহাজের নাবিকরা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জাহাজের মালিক প্রতিষ্ঠান কেএসআরএম গ্রুপের মালিকানাধীন এসআর শিপিং লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেরুল করিম।
তিনি জানান, জলদস্যুদের সঙ্গে জাহাজ ও নাবিকদের মুক্তির ব্যাপারে চলমান সমঝোতা সফলভাবে শেষ হওয়ার পর দস্যুরা জাহাজটিকে ১৪ এপ্রিল মুক্তি দেয়। জাহাজটি আজ দুবাই বন্দরে পৌঁছেছে।
জাহাজটি বর্তমানে বন্দর কর্তৃপক্ষের পরবর্তী নির্দেশনার জন্য অপেক্ষা করছে—জানিয়ে তিনি আরও বলেন, অনুমতি পেলে আজ রাতেই কিংবা আগামীকাল সকালে বন্দরের জেটিতে ভিড়বে জাহাজ। এরপর জাহাজে থাকা ৫৫ হাজার টন কয়লা খালাস করা হবে।
জলদস্যুদের হাত থেকে মুক্তির পর জাহাজটি সোমালি উপকূল থেকে প্রায় ১ হাজার ৪৫০ নটিক্যাল মাইল যাত্রা করে দুবাই পৌঁছায়। এর জন্য সময় লেগেছে ৮ দিন। জাহাজের নাবিকরা সবাই শারীরিকভাবে সুস্থ রয়েছেন বলে মেহেরুল করিম জানান।
জাহাজটি বর্তমানে বন্দর কর্তৃপক্ষের পরবর্তী নির্দেশনার জন্য অপেক্ষা করছে—জানিয়ে তিনি আরও বলেন, অনুমতি পেলে আজ রাতেই কিংবা আগামীকাল সকালে বন্দরের জেটিতে ভিড়বে জাহাজ। এরপর জাহাজে থাকা ৫৫ হাজার টন কয়লা খালাস করা হবে।
জলদস্যুদের হাত থেকে মুক্তির পর জাহাজটি সোমালি উপকূল থেকে প্রায় ১ হাজার ৪৫০ নটিক্যাল মাইল যাত্রা করে দুবাই পৌঁছায়। এর জন্য সময় লেগেছে ৮ দিন। জাহাজের নাবিকরা সবাই শারীরিকভাবে সুস্থ রয়েছেন বলে মেহেরুল করিম জানান।
গত ১২ মার্চ ভারত মহাসাগর থেকে কয়লাবোঝাই এমভি আবদুল্লাহ ছিনতাই করে সোমালিয়ার জলদস্যুরা। এসময় জাহাজটিতে থাকা ২৩ বাংলাদেশি নাবিককেও জিম্মি করা হয়। নাবিকদের উদ্ধারে নানা চেষ্টা করা হয়। চলে কূটনৈতিক তৎপরতাও। কিন্তু অগ্রগতি আসতে বেশ কিছুদিন সময় লাগে।
কোম্পানির মুখপাত্র মো. মিজানুল ইসলাম জানান, হামরিয়া বন্দরে কয়লা খালাসের পর জাহাজে থাকা ২৩ নাবিকের দুজন উড়োজাহাজে করে দেশে ফিরবেন। বাকি ২১ নাবিক আসবেন ওই জাহাজেই। ফলে ওই নাবিকদের চট্টগ্রাম বন্দরে ফিরতে আরও অপেক্ষায় থাকতে হবে এক মাস।