দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযানে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না বলে ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘আমরা দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছি, কেউ বাঁচতে পারবে না। দুর্নীতির সঙ্গে যিনিই জড়িত থাকুক না কেন, আমরা ছাড় দেব না।’
শনিবার (২৯ জুন) জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, “কিছুক্ষণ আগে বিরোধী দলের নেতাও বলেছেন, ‘এই বাজেট বাস্তবায়ন সম্ভব নয়।’ চ্যালেঞ্জ নেওয়াই আমাদের কাজ। আমরা চ্যালেঞ্জ নিয়েই এগিয়ে যেতে চাই এবং সেই চ্যালেঞ্জ নিয়েই এগিয়ে যাচ্ছি।”
তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন কারণে যেসব অর্থ প্রকাশ করা হয়নি, সেই অর্থ মূলধারায় আনার লক্ষ্যে বাজেটে সেই অর্থকে বৈধ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সেই অর্থগুলোকে অর্থনীতির মূলধারায় আনতে হবে। সেই লক্ষ্যে আমরা সাধারণ ক্ষমার প্রস্তাব দিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া, সাবেক অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমান ও গণফোরাম নেতা ড. কামাল হোসেনও অতীতে এই সুযোগ নিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘অতীতে এ ধরনের সুযোগ প্রায়ই দেওয়া হতো।’
সংসদ নেতা শেখ হাসিনা বলেন, সুষ্ঠু নীতি এবং গণমানুষের শক্তির ভিত্তিতে সরকার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেমের স্বপ্ন বাস্তবায়নে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলবে।
তিনি বলেন, ‘এই বাজেট বাস্তবায়নের মাধ্যমে আমরা সবাই দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাব এবং এর মাধ্যমে দেশ আরও একধাপ এগিয়ে যাবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাজেটকে কেউ উচ্চাভিলাষী বলেছেন, কেউ বলেছেন ঘাটতি বাজেট।
তিনি বলেন, “কিছুক্ষণ আগে বিরোধী দলের নেতাও বলেছেন, ‘এই বাজেট বাস্তবায়ন সম্ভব নয়।’ চ্যালেঞ্জ নেওয়াই আমাদের কাজ। আমরা চ্যালেঞ্জ নিয়েই এগিয়ে যেতে চাই এবং সেই চ্যালেঞ্জ নিয়েই এগিয়ে যাচ্ছি।”
এই বাজেটকে তিনি উচ্চাভিলাষী বলে মনে করেন না বলেও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ, আমরা যে লক্ষ্য নির্ধারণ করি তা কখনোই শতভাগ পূরণ হয় না, সেটা করা সম্ভব নয়। তারপরও আমাদের একটি সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য আছে, আমরা সেখানে পৌঁছাতে যাচ্ছি। আমরা সেটা করতে সক্ষম হয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে এই বাজেট প্রণয়ন করেছি এবং উন্নয়ন বাজেট দিয়েছি। এখানে কমানোর কিছু নেই।’
আওয়ামী লীগ সরকার দলের নির্বাচনি ইশতেহার ভুলে যায়নি মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা নির্বাচনের আগে ইশতেহার তৈরি করি। কিন্তু এই ইশতেহারের কথা আমরা ভুলে যাই না। জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে জাতির কাছে দেওয়া ওয়াদা আমরা পূরণ করি।’
তিনি মনে করেন, এই বাজেটের মাধ্যমে ২০৪১ সাল পর্যন্ত ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে।