ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের ভারত সফর ও অন্যান্য ষড়যন্ত্র বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে ভারতের অবস্থানের পরিবর্তন ঘটানো যাবে না। সেইসঙ্গে ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারির মতো এদেশে আর কোনো ১/১১ হবে না। রোববার ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এ কথা বলেছেন।
আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘একটা ষড়যন্ত্র চলছে, কিন্তু এদেশে ১/১১ এর মতো পরিস্থিতি আর হবে না। ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস ভারতে গেছেন। কিন্তু এতে ভারতের অবস্থানের কোনো পরিবর্তন হবে না। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার ক্ষেত্রে ভারতের অবস্থান পরিষ্কার।’
বিএনপির ডাকা অসহযোগ আন্দোলন ও তাদের অন্যান্য দাবির প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের অবস্থান পরিষ্কার করতে সংবাদ সম্মেলন ডেকেছিলেন ওবায়দুল কাদের।
সংবাদ সম্মেলনে কাদের জোর দিয়ে বলেন, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কোনো ধরনের সহিংসতা ক্ষমতাসীন দল বরদাস্ত করবে না। যারা দোষী প্রমাণিত হবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নির্বাচন বিরোধী কোনো সহিংসতা হলে নির্বাচন কমিশনের গৃহীত ব্যবস্থাকে আ.লীগ সমর্থন করবে। কেউ নির্বাচনী আচরণবিধি বা আইন লঙ্ঘন করলে তাকে বিচারের আওতায় আনতে হবে।
আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য সাধারণ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সারাদেশে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে দাবি করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, নির্বাচন নিয়ে সর্বত্র আলোচনা অব্যাহত রয়েছে।
লন্ডন থেকে নিয়ন্ত্রিত বিরোধী দলের আন্দোলনকে ‘বিচিত্র’ আখ্যা দিয়ে কাদের বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশ মেনে চললে বিএনপি নেতারা সবকিছু হারাবেন।
তিনি বলেন, ‘সাহস থাকলে দেশে ফিরছেন না কেন? বাংলাদেশে খোমেনী ধারার বিপ্লব হবে না। হয় আপনাকে (তারেক) রাজপথে আসতে হবে নয়তো জেলে থাকতে হবে। বিদেশে থেকে কোনো আন্দোলন হবে না।’
বিএনপির অসহযোগ আন্দোলন সম্পর্কে তিনি বলেন, বিএনপি নেতারা ট্যাক্স ও ইউটিলিটি বিল দেবেন না বলে হুমকি দিয়েছেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘কর না দিলে জেলে যেতে হবে। ইউটিলিটি বিল পরিশোধ না করলে শাস্তি পেতে হবে। বিদ্যুৎ ও পানির বিল পরিশোধ না করলের সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। এত সহজ!’