জয় বাংলাদেশ: দেশ থেকে ফ্যাসিবাদ চিরতরে বিদায় নিয়েছে এবং এ দেশে আর ফ্যাসিবাদের পুনর্বাসন হবে না বলে মন্তব্য করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ। শুক্রবার (১ নভেম্বর) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দেবিদ্বার উপজেলা শাখার উদ্যোগে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে শহীদ পরিবার ও আহতদের মাঝে আর্থিক সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, দেশে আর ফ্যাসিবাদের পুর্নবাসন হবে না। দেশ থেকে ফ্যাসিবাদ চিরতরে বিদায় নিয়েছে। পরবর্তী সরকারে কে আসবে তা নির্ধারণ করবে জনগণ। জনগণ যদি মনে করে এমন কাউকে ক্ষমতায় আনবে যারা পূর্বের মতো ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠা করবে, তার দায়ভারও তাদেরই নিতে হবে। এখন সিদ্ধান্ত আপনাদের, কাকে আগামীতে ক্ষমতায় আনবেন।
হাসনাত বলেন, দেবিদ্বারে কোনোভাবেই চাঁদাবাজিকে স্থান দেওয়া হবে না। এটি রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবেই সবাইকে মোকাবিলা করতে হবে। দেবিদ্বারের অবস্থা এমন হয়েছে, যারা রাজনীতিতে আসছে তারা বিদেশে থাকছে এবং দেশে এসে পৈতৃক কোটায় ক্ষমতায় আসছে। তাদের নিজেদের মধ্যে পাতানো বিরোধী বিরোধী খেলা আছে। অর্থাৎ সরকারে গেলেও আমার পরিবার, বিরোধী দলে গেলেও আমার পরিবার। যারা গত ১৬ বছর মানুষের ওপর জলুম নির্যাতন করেছেন তাদের সমঝোতার মাধ্যমে মামলা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। আমি আপনাদের নিশ্চয়তা দিচ্ছি, আপনারা যারা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন আপনারা তাদের বিরুদ্ধে মামলা করবেন এবং আইনি সহায়তা নেবেন। এ ক্ষেত্রে যারা বাধা দেবে তাদের নামগুলো প্রকাশ করবেন।
হাসনাত আরও বলেন, দেবিদ্বারে যারা শহীদ ও আহত হয়েছেন, আমি বিভিন্ন ফাউন্ডেশনে গিয়ে গিয়ে তাদের জন্য অর্থ সহায়তা এনেছি। ইতোমধ্যে দেবিদ্বারের ১০ শহীদ পরিবারের মাঝে ২০ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে। বাকি দুই শহীদের নাম আমার কাছে পরে এসেছে। আহতদের দেওয়া হয়েছে ছয় লাখ টাকা। এটি সরকারি কোনো অনুদান নয়। সরকার জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডশন করেছে। ওই ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে আরও অনুদান দেবে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি মাহমুদুল হাসানের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিগার সুলতানা, এনআরবিসি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রবিউল ইসলাম, সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমন্বয়ক রাকিবুল ইসলাম হৃদয়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র প্রতিনিধি নাজমুল হাসান নাহিদ, মোহতাদির যারিফ সিক্ত, জহিরুল ইসলাম ও আস সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের সমন্বয়ক মাহমুদুল হাসান জোবায়ের।