‘দেশে দুর্ভিক্ষ চলছে’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, চারদিকে ভিক্ষার আওয়াজ, ভাত চাওয়ার আওয়াজ, আর চাল চাওয়ার আওয়াজ শোনা যায়।
মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) রাজধানীর নয়াপল্টনে জিয়া প্রজন্ম দলের উদ্যোগে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
রিজভী আরও বলেন, ‘ভিক্ষুক বেড়েই চলছে। রাস্তাঘাটে এতো ভিক্ষুক আমরা কখনও দেখিনি। চারদিকে শুধু আমরা আহাজারি আর কান্না দেখতে পাই। আজকে যদি কেউ লঙ্গরখানা খুলে, তাহলে দেখা যাবে—গরীব মানুষ সেখানে হুমড়ি খেয়ে পড়ছে।’
মন্ত্রীদের বক্তব্যের সূত্র ধরে রিজভী বলেন, ‘বাংলাদেশ নাকি কানাডা ইউরোপের মতো উন্নত হয়েছে। কিন্তু আমরা গণমাধ্যমে দেখি—মা তার সন্তানকে বিক্রি করতে হাটে নিয়ে গেছেন। শ্রমজীবী মানুষের মাসিক আয় কত যে—তারা ৮০ টাকা কেজি দরে আলু কিনবে, লেবুর হালি কিনবে ১২০ টাকায়?’
ক্ষোভ প্রকাশ করে রিজভী বলেন, ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ সালে যেভাবে বাংলাদেশেকে ভিক্ষুকের দেশে পরিণত করা হয়েছিল, সরকার দেশকে সে অবস্থায় নিয়ে যেতে চাইছে।
দেশের মানুষের অবস্থা ভয়াবহ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আজকে দেশে ভয়াবহ ডলার সংকট চলছে। রিজার্ভ ফুরিয়ে আসছে। তিন মাস আমদানি করার রিজার্ভও ব্যাংকে নেই। তারা ১৯ বিলিয়ন ডলারের কথা বললেও ব্যাংকে রিজার্ভ আছে তার চেয়ে অনেক কম। বর্তমানে পোশাক রপ্তানি ৩০ ভাগ কমেছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে পোশাক কারখানা থাকবে না, সব বন্ধ হয়ে যাবে। মানুষ বেকার হয়ে রিকশা চালানোর অবস্থাও থাকবে না।’
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক মেহবুব মাসুম শান্ত, ছাত্রদল কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. তৌহিদুর রহমান আউয়াল, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি নেতা ফিরোজ আলম প্রমুখ।
ক্ষোভ প্রকাশ করে রিজভী বলেন, ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ সালে যেভাবে বাংলাদেশেকে ভিক্ষুকের দেশে পরিণত করা হয়েছিল, সরকার দেশকে সে অবস্থায় নিয়ে যেতে চাইছে।
দেশের মানুষের অবস্থা ভয়াবহ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আজকে দেশে ভয়াবহ ডলার সংকট চলছে। রিজার্ভ ফুরিয়ে আসছে। তিন মাস আমদানি করার রিজার্ভও ব্যাংকে নেই। তারা ১৯ বিলিয়ন ডলারের কথা বললেও ব্যাংকে রিজার্ভ আছে তার চেয়ে অনেক কম। বর্তমানে পোশাক রপ্তানি ৩০ ভাগ কমেছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে পোশাক কারখানা থাকবে না, সব বন্ধ হয়ে যাবে। মানুষ বেকার হয়ে রিকশা চালানোর অবস্থাও থাকবে না।’