জয় বাংলাদেশ : মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অর্ধেকের বেশি রাজ্যে ভোটগ্রহণ ইতোমধ্যে শুরু হয়ে গেছে। ফ্লোরিডা, আলাবামা, আইওয়া, কানসাস, মিনেসোটা, মিসিসিপি, নর্থ ডাকোটা, ওকলাহোমা, সাউথ ডাকোটা, টেক্সাস ছাড়াও দোদুল্যমান রাজ্য (সুইং স্টেট) হিসেবে পরিচিত উইসকনসিন, মিশিগান ও পেনসিলভানিয়াতেও ভোটগ্রহণ চলছে।
এর মধ্যে কিছু কেন্দ্রে ভোটগ্রহণে দেরি, ভোটিং মেশিনে সমস্যা, কেন্দ্রের সিস্টেম ডাউনসহ কিছু সমস্যার কথা জানিয়েছেন ভোটাররা। গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে জানানো হয়, ওহির ওয়েন কাউন্টিতে নির্বাচন বোর্ড মঙ্গলবার সকালে ঘোষণা দিয়েছে, কিড্রন কমিউনিটি সেন্টার কেন্দ্রে মেশিনের সমস্যা দেখা যাচ্ছে। যে কারণে সেখানে ভোটগ্রহণ শুরু করতে কিছুটা দেরি হয়েছে।
পেনসিলভানিয়ার দুটি কেন্দ্রে যান্ত্রিক সমস্যা দেখা দেওয়ায় ভোটগ্রহণ দেরিতে শুরু হয়েছে বলে সিএনএনের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। পশ্চিম পেনসিলভেনিয়ার অ্যালেঘেনি কাউন্টিতেও দুটি ভোটকেন্দ্রে ভোট শুরু করতে দেরি হয়েছে।
তবে কাউন্টির মুখপাত্র অ্যাবিগেল গার্ডনার জানিয়েছেন, ভোটগ্রহণ এখন চালু আছে। তিনি বলেন, ‘হোয়াইটহলের বরোর একটি কেন্দ্রের কর্মকর্তা দেরি করেছিলেন। তারা পৌঁছেছেন এবং ভোট চলছে।’
এদিকে, এক বিবৃতিতে মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেলদের জোট ‘শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তরের’ আহ্বান জানিয়েছেন। বিভিন্ন রাজ্য ও অঞ্চলের ৫১ অ্যাটর্নি জেনারেল সম্মিলিতভাবে এ বিবৃতি দেন।
বিবৃতিতে জনগণকে শান্তিপূর্ণ থাকার এবং ‘ফলাফল সম্পর্কিত যেকোনো সহিংসতা’ থেকে বিরত থাকার অনুরোধ করা হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ক্ষমতার শান্তিপূর্ণ হস্তান্তর হলো আইনের শাসনের সর্বোচ্চ প্রমাণ, একটি ঐতিহ্য, যা আমাদের দেশের স্থিতিশীলতার কেন্দ্রবিন্দু। অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে আমরা আমাদের জাতিকে রক্ষা করার এবং আমরা যে গণতান্ত্রিক নীতি ধারণ করি, তা সমুন্নত রাখার জন্য আমাদের প্রতিশ্রুতি নিশ্চিত করতে চাই।’
‘আমরা প্রত্যেক আমেরিকানকে ভোট দিতে, নাগরিক আলোচনায় অংশ নিতে এবং সর্বোপরি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার অখণ্ডতাকে সম্মান করার আহ্বান জানাই। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সহিংসতার কোনো স্থান নেই। যেকোনো বেআইনি কাজের বিরুদ্ধে আমরা আইন প্রয়োগ করার জন্য আমাদের ক্ষমতা ব্যবহার করব,’ যোগ করা হয় এতে।
এ ছাড়া, বিভিন্ন রাজ্যের বার কাউন্সিলের সাবেক ও বর্তমান প্রায় ১০০ আইনজীবীদের একটি জোট নির্বাচন নিয়ে ভুল তথ্যের ভিত্তিতে আইনজীবীদের মামলা না করার আহ্বান জানিয়েছেন।
তারা বলেন, ‘বাস্তব ও দৃঢ় আইনি ভিত্তি ছাড়া নির্বাচন-সংক্রান্ত মামলা প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিপন্ন করে তোলে। একটি কার্যকর গণতন্ত্রে মামলা অবিশ্বাস ছড়ানোর অস্ত্র নয়, ন্যায়বিচারের হাতিয়ার।’