দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির ফলে পরিস্থিতি কঠিন হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের। তিনি বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির ফলে মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। এ নিয়ে দিন দিন মানুষের ক্ষোভ বাড়ছে। এর পাশাপাশি রাজনৈতিক অস্থিরতা বাড়তে থাকলে সরকারের পক্ষে পরিস্থিতি সামলানো কঠিন হতে পারে। এ নিয়ে সরকারকে মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করি।
রোববার (২১ জানুয়ারি) সকালে নগরীর সেনপাড়াস্থ স্কাই ভিউ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।
জিএম কাদের বলেন, দ্রব্যমূল্য লাগামহীনভাবে বেড়েই চলেছে। এটা যে বাড়বে সেটি অনেক দিন ধরে অর্থনীতিবিদরা বিশ্লেষণ করে বলে আসছিল। নির্বাচনের পর থেকে আস্তে আস্তে অর্থনীতির পরিস্থিতি খারাপের দিকে যেতে থাকে। এর প্রভাব জনজীবন ও রাজনীতিতে পড়তে পারে। সরকারকে এ বিষয়ে সর্তক থাকা উচিত। সুষ্ঠু ধারা ও সুশাসনের রাজনীতি প্রতিষ্ঠা সকল মানুষের আকাঙ্ক্ষা থাকে। মানুষ এটির জন্য দল ও রাজনীতি করে। জাতীয় পার্টি কিছুটা হলেও সুশাসনের অতীত ঐতিহ্য রয়েছে। আমাদের সেই সময় কার কথা স্মরণ করে আবারও রাজনীতিতে সোনালী দিন ফিরে আসুক তা মানুষ আশা করে। সামনের দিকে সেই প্রত্যাশা পূরণে আমরা রাজনীতিকে এগিয়ে নিয়ে যাব।
জাপা চেয়ারম্যান বলেন, নির্বাচনের সময় নির্বাচনী এলাকার মানুষেরা আমার কাছে নানা বিষয়ে দাবি জানিয়েছিল। আমি শপথ গ্রহণের পর রংপুরে এসেই সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। অনেকগুলো প্রকল্প তৈরির কাজ চলছে। আস্তে আস্তে তা বাস্তবায়ন হবে। লাহিড়ীরহাটে রংপুর সদর উপজেলা সদর দপ্তরের নির্মাণের কথা চলছে। মন্ত্রণালয় অনুমতি দিলেই কাজ শুরু হবে।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, এ নির্বাচনে আমার মূল প্রতিদ্বন্দ্বী তৃতীয় লিঙ্গের আনোয়ারা ইসলাম রানীর সঙ্গে হৃদ্যতাপূর্ণ পরিবেশে সাক্ষাৎ হলো। তার অনেক স্বপ্নের কথা শুনলাম। সে তৃতীয় লিঙ্গের মানুষকে মূলধারায় আনতে কাজ করতে চায়। আমিও চাই তারা সম-অধিকার লাভ করুক। এ নিয়ে আমি তাকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার কথা বলেছি।
তিনি বলেন, জাতীয় পার্টির অস্তিত্ব রক্ষায় রংপুরের মানুষ বড় ভূমিকা পালন করেছে। রংপুরের মানুষের ঋণ পরিশোধ করা জাতীয় পার্টির জন্য কঠিন। তারা আমাদেরকে অন্তরে লালন করে। আমি জীবনের একটি প্রান্তে চলে এসেছি। তাই রংপুরের মানুষের উন্নয়নে সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাব।