রাজনৈতিক জোট গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা বলছেন, ২০২৪ সালের শুরুতেই এই সরকারকে বিদায় করা হবে। নতুন বছরে মুক্তির বার্তা নিয়ে দেশ এগিয়ে যাবে।
রোববার (৩১ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে গণতন্ত্র মঞ্চের গণসংযোগ শেষে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে এসব কথা বলেন জোটের নেতারা। ‘সরকার ও শাসনব্যবস্থা পরিবর্তনের লক্ষ্যে ঐক্যবদ্ধ হোন, একতরফা ভোট বর্জন করুন’ ব্যানারে গণসংযোগ করে গণতন্ত্র মঞ্চ।
গণতন্ত্র মঞ্চের অন্যতম নেতা ও বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ‘এদেশের জনগণের বুকের ওপর দাঁড়িয়ে অবৈধভাবে এই সরকার ক্ষমতায় বসে আছে। গোটা রাষ্ট্রের প্রশাসনকে তারা ব্যবহার করছে। দেশের প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে তারা ব্যবহার করছে, এটা দুঃখজনক।’
ভোটারদের টাকা দিয়ে কেন্দ্রে নেওয়ার প্রলোভন দেওয়া হচ্ছে দাবি করে তিনি বলেন, অনেক ভোটারকে তিন দিনের যে মজুরি, সেই পরিমাণ টাকা দেওয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে তারা ভোট ভোট খেলা শুরু করেছে। সরকারকে বলেছি—এই খেলা এবার জমবে না। সামাজিক সুরক্ষার যে কার্ডগুলো আছে, সে কার্ডগুলো তারা ভোট দেওয়ার শর্তে হাতিয়ে নিচ্ছে। যদি তারা ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট না দেয়, তাহলে তাদের সেই কার্ডগুলো ফেরত দেওয়া হবে না।’
সাইফুল হক আরও বলেন বলেন, ‘বিরোধী সব দলকে মোকাবিলা করার সব ক্ষমতা তারা হারিয়ে ফেলেছে। ২০২৪ সালের শুরুতেই এই সরকারকে বিদায় দিয়ে নতুন মুক্তির বার্তা নিয়ে দেশ এগিয়ে যাবে।’
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেছেন, আমাদের গণজাগরণকে চক্রান্তের মাধ্যমে থামিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। আপনারা (সরকার) যতই ষড়যন্ত্র করুন, এবার আপনাদের ছাড় দেওয়া হবে না।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা গতকাল (শনিবার) নির্বাচন কমিশনকে লাল কার্ড দেখিয়েছি। গতকাল প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেছেন, বিএনপি নাকি নির্বাচন প্রতিহত করবে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ভাষায় কথা বলছেন। নির্বাচন কমিশন সরকারের দাস হিসেবে কাজ করছে।’