নাশকতার অভিযোগে রাজধানীর রমনা ও পল্টন থানার পৃথক চার মামলায় জামিন পেয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেনের আদালতে শুনানি শেষে এসব মামলায় তার জামিন মঞ্জুর করেন।
এদিন দুপুরে আদালতে নেওয়া হয় আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে। আজ রমনা ও পল্টন থানার পৃথক আট মামলায় তার গ্রেপ্তার ও জামিন শুনানির দিন ধার্য ছিল। এর মধ্যে চার মামলায় তার জামিন মঞ্জুর হলেও বাকি চার মামলার শুনানি হয়নি।
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর আইনজীবী জয়নাল আবেদিন মেজবাহ গণমাধ্যমকে জানান, আটটি মামলার মধ্যে চারটি পল্টন ও চারটি রমনা থানায় দায়ের করা। এর মধ্যে রমনার দুটি ও পল্টনের দুটিতে তিনি আজ জামিন পেলেন। বাকি চারটি মামলার নথি ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে থাকায় সেগুলোর শুনানি আজ হয়নি। সেই নথি আসার পর এই চার মামলার শুনানি হবে।
এর আগে বিএনপির ২৮ অক্টোবরের সমাবেশে নেতাকর্মীদের সহিংসতা ও পুলিশ সদস্য হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার করা হয় আমীর খসরুকে। এরপর গত ৩ নভেম্বর তাকে আদালতে হাজির করা হয়। এ মামলায় ছয়দিনের রিমান্ড শেষে গত ১০ নভেম্বর তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
এরপর পল্টন থানার নাশকতার আরেক মামলায় গত ১৪ ডিসেম্বর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পল্টন মডেল থানার উপপরিদর্শক সুমিত কুমার সাহা গ্রেপ্তার দেখানোসহ আমীর খসরুর ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। গত ১৮ ডিসেম্বর ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরীর আদালত রিমান্ড নামঞ্জুর করে খসরুকে জেলগেটে দুদিন জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেন।
২৮ অক্টোবরের ঘটনায় আমীর খসরুর বিরুদ্ধে রমনা ও পল্টন মডেল থানায় পৃথক ১০টি মামলা দায়ের হয়। তার মধ্যে গতকাল বুধবার পল্টন মডেল থানার পৃথক দুই মামলায় ১০ হাজার টাকা মুচলেকায় জামিন পান তিনি।