জয় বাংলাদেশ: রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন আগামী মঙ্গলবার মঙ্গোলিয়া সফরে যাচ্ছেন। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) সদস্য দেশ মঙ্গোলিয়ায় তিনি গ্রেপ্তার হতে পারেন বলে যে আশঙ্কা করা হচ্ছে তা নিয়ে উদ্বিগ্ন নয় ক্রেমলিন। যদিও পুতিনের বিরুদ্ধে আইসিসি’র গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে।
ইউক্রেনের শিশুদের অবৈধভাবে দেশটি থেকে সরিয়ে নেওয়ার অভিযোগে ২০২৩ সালের মার্চ মাসে পুতিনের বিরুদ্ধে আইসিসি’র গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর এবারই প্রথম পুতিন আইসিসিভুক্ত কোনো দেশ সফরে যাচ্ছেন।
এদিকে ইউক্রেন পুতিনকে গ্রেপ্তার করতে মঙ্গোলিয়ার প্রতি আহ্বান জানানোর প্রেক্ষিতে ক্রেমলিন মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, “চিন্তার কিছু নেই। মঙ্গোলিয়ার বন্ধুদের সঙ্গে আমাদের চমৎকার আলোচনা হয়েছে।”
পুতিনের সফরের আগে গ্রেফতারি পরোয়ানা নিয়ে উলানবাটরের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে কিনা এ প্রশ্নের জবাবে পেসকভ বলেন, “সফরের সকল দিক সাবধানে প্রস্তুত করা হয়েছে।”
এদিকে মঙ্গোলিয়ার প্রতি পুতিনকে গ্রেপ্তারের আহ্বান জানিয়ে ইউক্রেন বলেছে, তারা আশা করছে, পুতিন যে একজন যুদ্ধাপরাধী, সে বিষয়ে অবগত আছে মঙ্গোলিয়া। এ ছাড়া নেদারল্যান্ডসের হেগে আইসিসির সদর দপ্তরে কৌঁসুলিদের কাছে পুতিনকে হস্তান্তরের দাবি তোলা হয়েছে ইউক্রেনের পক্ষ থেকে।
তবে আইসিসির মুখপাত্র ড. ফাদি এল-আবদুল্লাহ বিবিসিকে বলেন, “সদস্যদেশ হিসেবে আইসিসির বিধান মেনে চলতে দায়বদ্ধ মঙ্গোলিয়ার কর্মকর্তারা। তবে অপরিহার্যভাবে এর অর্থ এই নয় যে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করতেই হবে।”
তিনি আরো বলেছেন, “অবশ্যই পুতিনের সফরকে ঘিরে সতর্কতার সঙ্গে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।”
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ইউক্রেনে অভিযান শুরু করে রাশিয়া। এরপর থেকে দেশ দুইটির মধ্যে যুদ্ধ এখনও চলছে। ইউক্রেনের শিশুদের অবৈধভাবে দেশটি থেকে সরিয়ে নেওয়ার অভিযোগে ২০২৩ সালের মার্চ মাসে পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আইসিসি। মঙ্গোলিয়া ২০০০ সালের ডিসেম্বরে আইসিসিতে স্বাক্ষর করে।