পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ দেখার অপেক্ষায় আছেন বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের লাখ লাখ মানুষ। সোমবার (৮ এপ্রিল) হবে পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ। এদিন ভরদুপুরে বিরল মহাজাগতিক ঘটনার সময় চাঁদের ছায়া সূর্যকে প্রায় চার মিনিট সম্পূর্ণ ঢেকে রাখবে। তাদের আশা, আজ আকাশ পরিষ্কার থাকবে এবং নির্বিঘ্নে বিরল এই সূর্যগ্রহণের দৃশ্য দেখা যাবে।
সংবাদমাধ্যম বিবসির খবরে বলা হয়েছে, এই নির্দিষ্ট সময়ের জন্য মেক্সিকো, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় সূর্যকে পুরোপুরি ঢেকে ফেলবে চাঁদ। ফলে দিন হবে রাতের মতো অন্ধকার। ইতোমধ্যে বিরল এ সূর্যগ্রহণ দেখতে প্রস্তুত এসব দেশের কোটি মানুষ। তবে মেক্সিকোর উত্তরাঞ্চল, যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস ও গ্রেট লেকস অঞ্চলের বাসিন্দাদের জন্য হতাশার বার্তা দিয়েছেন আবহাওয়াবিদেরা। তারা বলেছেন, এসব অঞ্চলে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকতে পারে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৭ সালের পর উত্তর আমেরিকা মহাদেশে এটি প্রথম পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ। এই সূর্যগ্রহণ শুরু হবে মেক্সিকোর পশ্চিম উপকূলে। তিনটি দেশের বেশ কয়েকটি এলাকা এই সূর্যগ্রহণের আওতাভুক্ত থাকবে।
পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ চলাকালে চাঁদ সম্পূর্ণরূপে সূর্যকে ঢেকে ফেলবে। এ সময় কিছু এলাকায় দিনের বেলায়ই অন্ধকার নেমে আসবে। প্রায় সাড়ে চার মিনিট এ পরিস্থিতি থাকতে পারে।
ভারতীয় সময়ে রাত ৯টা ৩২ মিনিটে শুরু হবে। আর শেষ হবে দুইটা ৫২ মিনিটে। তবে এর মধ্যে পূর্ণগ্রাস থাকবে চার মিনিট। কারো কারো মতে আবার সাত মিনিট। কিন্তু এই গ্রহণ বাংলাদেশ থেকে দেখা যাবে না। কারণ এটি যে সময়ে হবে, সেই সময়ে বাংলাদেশের আকাশে সূর্য নেই। কারণ সেই সময়ে রাত। তাই এটি বাংলাদেশ বা এশিয়ার অন্য জায়গা থেকে দেখা যাবে না।
পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ বিরলতম ঘটনা। একটি পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ অত্যন্ত নাটকীয় একটি বিষয়। এতে চাঁদ সম্পূর্ণরূপে সূর্যকে ঢেকে দেয়। চাঁদ যখন সূর্যকে পুরোপুরি ঢেকে ফেলে তখন তাকে বলা হয় পূর্ণগ্রাস। পৃথিবী সূর্যের চারদিকে ঘোরে। চাঁদ পৃথিবীর চারদিকে ঘোরে। অনেক সময়ে চাঁদ পৃথিবী এবং সূর্যের মধ্যে চলে আসে। এ কারণে সূর্য থেকে পৃথিবীতে আসা আলো কিছু সময়ের জন্য বাধাগ্রস্ত হয়। একেই সূর্যগ্রহণ বলা হয়। এই ঘটনাটি মহাকাশ থেকে দেখা গেলে পৃথিবীতে একটি বিশাল ছায়া দেখা যাবে, যা হবে চাঁদের ছায়া। সূর্যগ্রহণ তিন প্রকার। পূর্ণগ্রাস বেশ কয়েক মিনিট সময় নেয়। সূর্য পুরোপুরি ঢেকে গেলে কয়েক মিনিটের জন্য অন্ধকার থাকে। এ ধরনের বিরল আরেকটি ঘটনা দেখতে মানবজাতিকে অপেক্ষা করতে হবে ২০৪৪ সাল পর্যন্ত।