রাশিয়ার বিরুদ্ধে দূর পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার শুরু করেছে ইউক্রেন। ক্ষেপণাস্ত্রগুলো গোপনে কিয়েভকে সরবরাহ করেছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন কর্মকর্তারা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অস্ত্রগুলো পূর্ববর্তী মার্কিন সহায়তা প্যাকেজের অংশ হিসেবে পাঠানো হয়েছিল এবং এই মাসে তা কিয়েভে পৌঁছায়।
কর্মকর্তারা বলেছেন, ইউক্রেনের ‘অপারেশনাল নিরাপত্তা’ বজায় রাখার জন্য এ খবর প্রকাশ্যে ঘোষণা করা হয়নি।
অধিকৃত ক্রিমিয়ায় রাশিয়ার লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে এরই মধ্যে অন্তত একবার এই ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে। কিয়েভে আরও সহায়তা পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।
রাষ্ট্রপতি জো বাইডেন বুধবার ইউক্রেনের জন্য ৬১ বিলিয়ন ডলারের অর্থনৈতিক ও সামরিক সহায়তার একটি নতুন প্যাকেজ স্বাক্ষর করেছেন। ধারণা করা, হচ্ছে আরও মার্কিন অস্ত্র দ্রুত ইউক্রেনে পাঠানো হবে।
যে ক্ষেপণাস্ত্রগুলি ইতোমধ্যে নীরবে সরবরাহ করা হয়েছে তা আর্মি ট্যাকটিক্যাল মিসাইল সিস্টেমসের দীর্ঘ পাল্লার সংস্করণ। বুধবার স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
কর্মকর্তাদের উদ্বেগ ছিল, ইউক্রেনীয়রা রাশিয়ার ভূখণ্ডের অভ্যন্তরে হামলা চালানোর জন্য অস্ত্র ব্যবহার করতে পারে, যার ফলে সংঘর্ষ বাড়তে পারে। এ খবর সবার প্রথম প্রকাশ করে এনবিসি নিউজ।
ইউক্রেনীয়রা দীর্ঘকাল ধরে এই ক্ষেপণাস্ত্রের জন্য আহ্বান জানিয়েছে যা ৩০০ কিলোমিটার পর্যন্ত হামলা করতে পারে। বাইডেন ফেব্রুয়ারিতে গোপনে গ্রিন সিগনাল দিয়েছিলেন বলে জানা গেছে।
বুধবার সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে, স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র নিশ্চিত করেছেন, দূর পাল্লার ওই ক্ষেপণাস্ত্র পাঠানোর বিষয়ে সরাসরি প্রেসিডেন্টের নির্দেশনা ছিল।
ইউক্রেনের অপারেশনাল নিরাপত্তা বজায় রাখার জন্য শুরুতে এটি ঘোষণা করা হয়নি বলে নিশ্চিত করেছেন মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল।
ইতোমধ্যে কতগুলো অস্ত্র পাঠানো হয়েছে তা স্পষ্ট নয়। তবে মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সুলিভান বলেছেন, ওয়াশিংটন আরও পাঠানোর পরিকল্পনা করেছে। তারা একটি পার্থক্য তৈরি করবে।
দূর পাল্লার এই ক্ষেপণাস্ত্রটির মাধ্যমে রুশ নিয়ন্ত্রিত এলাকায় গভীরভাবে আঘাত করতে পারবে ইউক্রেন। বিশেষ করে ঘাঁটি, স্টোরেজ সুবিধা ও লজিস্টিক হাবে।
মার্কিন মিডিয়া জানিয়েছে, ক্রিমিয়ায় একটি রুশ বিমানঘাঁটিতে হামলার জন্য এই ক্ষেপণাস্ত্র তারা গত সপ্তাহে প্রথমবারের মতো ব্যবহার করেছিল। তারপরে মঙ্গলবার রাতে দখলকৃত বন্দর শহর বারদিয়ানস্কে রুশ সেনাদের ওপর হামলা চালানো হয়েছিল।
রাশিয়া বুধবার বলেছে, নতুন অস্ত্রের ব্যবহারে যুদ্ধের ফলাফলে কোনো মৌলিক পরিবর্তন আসবে না।