জয় বাংলাদেশ : আগামী তিন বছরে বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতে মোট ৪ থেকে ৫ বিলিয়ন ডলার ঋণ সহায়তা দেবে ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংক (আইএসডিবি)। সদস্য দেশ অংশীদারত্ব কৌশল (এমসিপিএস) এর আওতায় ২০২৪ থেকে ২০২৬ সাল পর্যন্ত এ সহায়তা দেওয়া হবে।আজ মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ এর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান ব্যাংকটির রিজিওনাল হাব ম্যানেজার নাসিস সুলাইমান।
তিনি জানান, আমাদের সংস্থার এমসিপিএস নীতি অনুযায়ী বাংলাদেশকে এ সহায়তা দেওয়া হবে। নাসিস সুলাইমান বলেন, ২০২৬ সালের মধ্যে অর্থাৎ আগামী তিন বছরে বাংলাদেশের জ্বালানি অবকাঠামো উন্নয়ন, জলবায়ুর বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায়সহ প্রয়োজনীয় বেশকিছু খাতে আমরা সহায়তা দেব। অন্যান্য ইসলামিক দেশের মতো আমাদের পলিসি অনুযায়ী সেটা দেওয়া হবে। এর পরিমাণ ৪-৫ বিলিয়ন হবে।
আইএসডিবির একটি বাণিজ্য অর্থায়নকারী সংস্থা হলো ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ট্রেড ফিন্যান্স করপোরেশন (আইটিএফসি)। এই সংস্থার মাধ্যমে জ্বালানি তেল ক্রয়ে যে সহায়তা দেওয়া হয়– সেটি বাড়ানো হবে কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমরা আলোচনা করেছি।
১৯৯৭ সালে আইএসডিবির অর্থায়নে ঢাকার আগারগাঁওয়ে একটি ২০ তলা বাণিজ্যিক ভবন এবং একটি চারতলা শপিং কমপ্লেক্স নির্মিত হয়। এবার হবে আইডিবি ভবন-২। এটিও হবে আগারগাঁওয়ে। এর জন্যও সংস্থাটি ডলারে যে ঋণ দেবে, তা পৌনে ২০০ কোটি টাকার সমপরিমাণ। এই ঋণের বিপরীতে কোনো সুদ নেবে না সংস্থাটি। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) সূত্রে জানা যায়, মোট ৩৬১ কোটি ২৫ লাখ টাকা ব্যয়ে ১৫ তলা টুইন টাওয়ার নির্মাণ করা হবে।
বৈঠক শেষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, সাইক্লোন সেন্টার, বন্যায় অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত, প্রান্তিক যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, টুইন টাওয়ারের মতো বড় বড় বিল্ডিং করার মতো খাতে আমরা বিনিয়োগ করতে বলেছি।
তিনি আরো বলেন, ইসলামী ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক অবকাঠামো ও স্বাস্থ্য খাতে সহায়তা করবে। জ্বালানি তেল আমদানির ঋণসীমা বাড়ানো হবে কিনা প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, এনিয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে এখনও চূড়ান্ত হয়নি।