প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, ২০০৯ এর পর প্রতিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে দেশের জনগণ ভোট দিয়েছে। আওয়ামী লীগ জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিয়েছে। আমি বিশ্বাস করি, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে বলেই বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা কেউ ব্যাহত করতে পারবে না।
বুধবার (১০ জানুয়ারি) বিকাল ৫টার দিকে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বঙ্গবন্ধুর ‘স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস’ উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
এর আগে বিকাল ৪টার দিকে আওয়ামী লীগ সভাপতি সভামঞ্চে উপস্থিত হন। এ সময় তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমার অবাক লাগে সামরিক একনায়করা যখন ভোট কারচুরি করে ক্ষমতায় আসে সেই নির্বাচন নিয়ে কেউ কথা বলতো না। যখন নির্বাচন মানে ছিল ১০টা হোন্ডা ২০টা গোণ্ডা নির্বাচন ঠান্ডা। আমরা যখন গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছি, মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছি তখনই আমাদের নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন।
বাধা উপেক্ষা করে ভোট দেওয়ায় জনগণের প্রতি ধন্যবাদ জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আজকের বাংলাদেশ বদলে যাওয়া বাংলাদেশ অনেকের অনেকরকম স্বপ্ন ছিল। অনেকে নির্বাচন ব্যর্থ করতে চেয়েছিল, কিন্তু তাদের চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। মানুষ যেন ভোট দিতে না পারে সেই চেষ্টা করা হয়েছিল।
তিনি বলেন, এবারের নির্বাচনে কেউ বলতে পারবে না, দিনের ভোট রাতে হয়েছে। এবারের ভোটে কারচুপি হয়েছে এমন কিছু বলার ক্ষমতা কারও নেই। কারণ, স্বাধীন নির্বাচন কমিশনের অধীনে এবারের নির্বাচন অত্যন্ত স্বচ্ছ, অবাধ ও নিরপেক্ষ হয়েছে। শুধুমাত্র নৌকাকে বিজয়ী করতে ১০৩ বছরের বৃদ্ধও ভোটকেন্দ্রে গেছেন।
সরকারপ্রধান বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় না আসলে বাংলাদেশ এগোতে পারতো না। উন্নয়নের দিকে বাংলাদেশের এই অগ্রযাত্রা আর কেউ বন্ধ করতে পারবে না।
সমাবেশকে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই সমাবেশে জড়ো হতে থাকেন নেতা-কর্মীরা। দুপুরে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) এলাকায় আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগসহ দলটির অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে জড়ো হতে দেখা যায়।