জয় বাংলাদেশ: এবার বাংলাদেশের কাছে পাঁচটি ভারতীয় বিদ্যুৎ কোম্পানি ১০০ কোটি ডলারের বেশি পাওনা হয়েছে বলে বেরিয়ে এলো খবর। এর মধ্যে কেবল আদানির একটি বিদ্যুৎ কোম্পানি বাংলাদেশের কাছে ৮০ কোটি ডলার পায়। এ কোম্পানি একটি আলাদা লাইনের মাধ্যমে ঝাড়খন্ডে অবস্থিত ১৬০০ মেগাওয়াটের কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে।
সম্প্রতি ভারতীয় এক গণমাধ্যম ইকোনমিক টাইমসের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশের কাছে চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত এসইআইএল এনার্জি ইন্ডিয়ার পাওনা হয়েছে ১৫ কোটি ডলার। বাংলাদেশে ২৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহের একটি চুক্তি রয়েছে এই কোম্পানির। আরেকটি কোম্পানি এনটিপিসি পায় আট কোটি ডলারের কাছাকাছি।
পিটিসি ইন্ডিয়া পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানি থেকে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের কাছে ২৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে চুক্তিবদ্ধ। তাদের পাওনা হয়েছে ৭ কোটি ৯০ লাখ ডলার। তবে ২৫ আগস্ট তারা ৪ কোটি ৬০ লাখ ডলার আদায় করতে পেরেছে বলে ইকোনমিক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
এ ছাড়া পাওয়ার গ্রিড করপোরেশন অব ইন্ডিয়া পাওনা হয়েছে ২ কোটি ডলার।
অর্থ বকেয়া থাকা সত্ত্বেও এসব কোম্পানি বাংলাদেশে বিদ্যুৎ রপ্তানি অব্যাহত রেখেছে। তবে দীর্ঘদিন ধরে এভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে না বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
ঝাড়খন্ডের গড্ডা বিদ্যুৎকেন্দ্র আমদানি করা কয়লা ব্যবহার করে এবং এটি গত বছরের জুনে পুরোপুরি উৎপাদনে আসে। ইকোনমিক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, এই কেন্দ্র আরও সাশ্রয়ী তরল জ্বালানি ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে বলে কথা রয়েছে। তবে পাওনা অর্থ না পাওয়ার কারণে উৎপাদন চালিয়ে রাখতে এটি চ্যালেঞ্জে রয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
ইকোনমিক টাইমস বলছে, বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে দেশটির আর্থিক পরিস্থিতি চাপে পড়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর নিশ্চিত করছেন যে আদানি পাওয়ারের বেশ কিছু পরিমাণ অর্থ বকেয়া রয়েছে। বিদ্যুৎ সরবরাহ অব্যাহত রাখতে এসব পাওনা পরিশোধ করা গুরুত্বপূর্ণ বলে তিনি স্বীকার করেন।
আদানি পাওয়ারের পাশাপাশি এনটিপিসি ও পিটিসি ইন্ডিয়ার মতো কোম্পানি পাওনা অর্থ পেতে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে।