Tuesday, November 19, 2024
Google search engine
Homeআন্তর্জাতিকবাইডেনকে নির্বাচনে থাকতে বলছে পরিবার

বাইডেনকে নির্বাচনে থাকতে বলছে পরিবার

জয় বাংলাদেশ: প্রথম প্রেসিডেন্সিয়াল বিতর্কে ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে নাস্তানাবুদ হওয়ায় নিজ দলের ভেতরেই তুমুল সমালোচনার মুখে পড়েছেন জো বাইডেন। ৮১ বছর বয়সী এ নেতাকে সরিয়ে অন্য কাউকে প্রার্থী করা যায় কি না, তা নিয়েও আলোচনা চলছে। রাজনীতির এমন টালমাটাল অবস্থায় পরিবারকে ঠিকই পাশে পাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তারা চায়, বাইডেন যেন শেষ পর্যন্ত নির্বাচনী লড়াইয়ে থাকেন। এমনকি বিতর্কে খেই হারানোর জন্য বাইডেন নন, তার উপদেষ্টাদেরই দায়ী করছেন স্বজনরা।

গত রোববার (২০ জুন) ক্যাম্প ডেভিডে পরিবারের সঙ্গে মিলিত হয়েছিলেন জো বাইডেন। পারিবারিক বৈঠকে প্রেসিডেন্টের স্ত্রী, সন্তান এবং নাতি-নাতনিরা উপস্থিত ছিলেন। সেখানে বাইডেনের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়েও আলোচনা হয়।

নিউইয়র্ক টাইমসের খবর অনুসারে, বাইডেনকে তার পরিবার বলেছে, তিনি আরও চার বছর দেশ চালাতে সক্ষম, তা এখনো দেখিয়ে দিতে পারেন।

প্রথম বিতর্কে কীভাবে নাস্তানাবুদ হয়েছেন এ ডেমোক্র্যাট নেতা, তা জানেন পরিবারের সদস্যরা। তা সত্ত্বেও তারা বিশ্বাস করেন, ট্রাম্পকে হারানোর জন্য বাইডেনই সবচেয়ে যোগ্য ব্যক্তি।

বার্তা সংস্থা এপি’র খবরে বলা হয়েছে, চাপ সামলে শেষ পর্যন্ত বাইডেনকে নির্বাচনী লড়াইয়ে থাকার বিষয়ে সবচেয়ে জোরালো সমর্থন দিয়েছেন তার স্ত্রী জিল ও পুত্র হান্টার।

প্রেসিডেন্টের ঘনিষ্ঠরা আরও দাবি করেন, বিতর্কের জন্য বাইডেনকে ঠিকভাবে প্রস্তুত করেননি উপদেষ্টারা।

গত সপ্তাহে বিতর্কের সময় ট্রাম্পের ঝাঁঝালো আক্রমণের বিরুদ্ধে কর্কশ ও কম্পিত কণ্ঠে বলতে শোনা যায় মার্কিন প্রেসিডেন্টকে। কিছু কিছু সময় পুরো বাক্যও শেষ করতে পারেননি তিনি। বিপরীতে ট্রাম্প একের পর এক মিথ্যা দাবি করতে থাকেন। বলেন, ২০২০ সালের নির্বাচনে তিনিই জিতেছিলেন। কিন্তু সেই ভুলগুলো ধরিয়ে দেওয়া বা তার কড়া প্রতিবাদ করতে পারেননি বয়োবৃদ্ধ বাইডেন।

ফ্লোরিডাভিত্তিক অ্যাটর্নি এবং বাইডেনের অন্যতম প্রধান তহবিল সংগ্রহকারী জন মরগান বলেন, আমার বিশ্বাস, তাকে (প্রেসিডেন্ট) অতিরিক্ত শেখানো হয়েছিল, তিনি অতিরিক্ত অনুশীলন করেছিলেন।

বাইডেনের ঘনিষ্ঠ আরেক ব্যক্তি বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, উপদেষ্টাদের কাছে তিনি অনুরোধ করেছিলেন, বিতর্কের আগে যেন প্রেসিডেন্ট পর্যাপ্ত বিশ্রাম পান, তা নিশ্চিত করা হয়। কিন্তু সেটি হয়নি। বাইডেন ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলেন।

তার কথায়, অসুস্থ ও ক্লান্ত দেখানো প্রেসিডেন্টকে বাইরে পাঠানো খুবই খারাপ সিদ্ধান্ত ছিল।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -
Google search engine

নতুন সংবাদ

Recent Comments