জয় বাংলাদেশ : গণহত্যা নিয়ে যাদের বিন্দুমাত্র অনুশোচনা নেই, তাদের সঙ্গে কোনো রিকন্সিলিয়েশন হবে না বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম। তিনি বলেছেন, ‘আগে বিচার, তারপর সমঝোতা। খুনীদের ক্ষমা নাই। ১৫ অক্টোবর রাতে নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক আইডিতে স্ট্যাটাস দিয়ে তিনি এ কথা বলেন ।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সামনের সারির এই সমন্বয়ক লিখেন, মুজিববাদের বিরুদ্ধে এবার হবে প্রত্যাঘাত। খুনীদের ক্ষমা নাই। খুনীদের আদর্শের ফেরিওয়ালাদের ক্ষমা নাই। নির্মূলের রাজনীতি আমরা করতে চাই নাই। কিন্তু, আমাদের রক্ত পান করতে যারা স্লোগান দেবে, রাজনীতি করবে- সেসকল মুজিববাদীদের কোনভবেই ক্ষমা করা হবে না।
স্ট্যাটাসে তিনি লিখেন, দু’হাজার বা ততোর্ধ্ব শহিদের আত্মার শপথ, কোন সুশীল বা গুন্ডা মুজিববাদীদের এ স্বদেশের এক ইঞ্চি জমিও ছেড়ে দেয়া হবে না। ফ্যাসিস্ট মুজিব হাসিনা মুর্দাবাদ মুর্দাবাদ।
এর আগে মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের সামনে বিক্ষোভ করেছেন আওয়ামী লীগপন্থী আইনজীবীরা। এ সময় তারা ‘শেখ হাসিনার ভয় নাই, রাজপথ ছাড়ি নাই’ সহ নানা স্লোগান দেন। পরে একজনকে আটক করেছে কোতোয়ালি থানা পুলিশ।
এদিন পৃথক দুটি হত্যা মামলায় আওয়ামী লীগ নেতা আবদুর রাজ্জাক ও ফারুক খানকে আদালতে হাজির করে রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ। তখন আদালতে শুনানি চলছিল। শুনানি শেষ হওয়ার পর ফারুক খানকে এজলাস থেকে আদালতের হাজতখানায় নিয়ে যাচ্ছিল পুলিশ। তখন আদালতের সামনে ২০ থেকে ২৫ জন আইনজীবী ও কয়েকজন যুবক স্লোগান দিতে থাকেন।
এদিকে আওয়ামী লীগের ফ্যাসিস্ট বিচারকদের পদত্যাগের দাবিতে বুধবার হাইকোর্ট ঘেরাও কর্মসূচির ডাক দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম। সকাল ১১টায় রাজু ভাস্কর্যে জড়ো হয়ে সেখান থেকে একসাথে হাইকোর্ট অভিমুখে যাত্রার কথা বলেন তিনি।