মালদ্বীপের প্রধান বিরোধী দল দেশটির চীনপন্থী প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জুর বিরুদ্ধে অভিশংসনের প্রক্রিয়া শুরু করতে চলেছে। প্রধান বিরোধী দল মালদ্বীপ ডেমোক্রেটিক পার্টি পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠ। দলটি ইতিমধ্যেই স্বাক্ষর সংগ্রহ করে অভিশংসন ফাইলিং প্রক্রিয়া শুরু করেছে।
একটি চীনা গুপ্তচর জাহাজকে মালদ্বীপ সরকার রাজধানী মালের বন্দরে নোঙর করার অনুমতি দেওয়ার পরই বিরোধী দলগুলো চীনপন্থী অবস্থানের জন্য রাষ্ট্রপতি মুইজ্জুর ওপর চাপ প্রয়োগ শুরু করেছে।
গতকাল মালদ্বীপের পার্লামেন্টে ব্যাপক মারামারির ঘটনা ঘটে। এরপরেই বিরোধীরা অভিশংসন প্রক্রিয়া শুরু করার সিদ্ধান্ত নেয়।
মুইজ্জু সরকারের জন্য সংসদীয় অনুমোদনের বিষয়ে একটি মূল ভোট রোববার নির্ধারিত ছিল। এদিন সরকারি এমপিরা (পিপিএম/পিএনসি পার্টি) কার্যধারায় ব্যাঘাত ঘটালে সহিংসতা শুরু হয়।
মুইজ্জু সরকার ’ইন্ডিয়া আউট’ নীতির প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় আসেন। ক্ষমতায় বসার পরপরই তিনি মালদ্বীপ থেকে ভারতীয় সেনা প্রত্যাহারের নির্দেশ দেন। চলতি মাসে তিনি দিল্লিকে তার সেনা প্রত্যাহারের জন্য ১৫ মার্চ সময়সীমা বেঁধে দেন।
এদিকে চলতি মাসের শুরুতে নরেন্দ্র মোদির লাক্ষাদ্বীপ সফর নিয়ে মালদ্বীপের সঙ্গে কূটনীতিক দ্বন্দ্ব শুরু হয়। মোদিকে নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য করেন দেশটির তিন মন্ত্রী। পরে তাদের বহিষ্কারও করা হয়।
মালদ্বীপের ডেমোক্রেটিক পার্টি বা এমডিপি এবং ডেমোক্র্যাটরা সরকারকে ‘কঠোর’ ভারত-বিরোধী পল্টিবাজ হিসেবে অভিযুক্ত করেছে এবং একটি যৌথ প্রেস বিবৃতি জারি করেছে। তারা নীতি পরিবর্তনকে দেশের দীর্ঘমেয়াদী উন্নয়নের জন্য ‘অত্যন্ত ক্ষতিকর’ অভিহিত করেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘যেকোনো উন্নয়ন সহযোগীকে, বিশেষ করে দেশের সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী মিত্রকে বিচ্ছিন্ন করা দেশের দীর্ঘমেয়াদী উন্নয়নের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর হবে। কারণ ভারত মহাসাগরে স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা মালদ্বীপের স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তার জন্য অত্যাবশ্যক।’