জয় বাংলাদেশ: মিয়ানমারে সুপার টাইফুন ইয়াগির আঘাতে সৃষ্ট ভয়াবহ বন্যা ও ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭৪ জনে। এছাড়া আরও কয়েকজন নিখোঁজ রয়েছে। স্থানীয় সময় রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) সিএনএন রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে।
গৃহযুদ্ধকবলিত মিয়ানমারে বন্যার কারণে ৪৫০টিরও বেশি ওয়ার্ড ও গ্রাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে মিয়ানমার নিউজ এজেন্সি (এমএনএ)। নিখোঁজ ৮৯ জনকে উদ্ধারে চলছে তল্লাশি ও উদ্ধার অভিযান। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় ৬৫ হাজার ঘরবাড়ি।
ঘূর্ণিঝড় ইয়াগি মিয়ানমারে আঘাত হানার আগে ভিয়েতনাম, চীনের হাইনান এবং ফিলিপাইনে তাণ্ডব চালায়। এটি এশিয়ায় এ বছর আঘাত হানা সবচেয়ে শক্তিশালী ঝড় হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, জান্তা প্রধান জেনারেল মিন অং হ্লাইং এবং অন্যান্য কর্মকর্তারা বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন এবং উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করেছেন। বন্যার ক্ষয়ক্ষতি সামলাতে বিদেশি সহায়তা চেয়েছে জান্তা সরকার। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোর মধ্যে রাজধানী নেইপিদো অন্যতম।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে টাইফুন এবং হারিকেনের শক্তি বৃদ্ধি পাচ্ছে। জাতিসংঘের তথ্যানুযায়ী, মিয়ানমারে চলমান তিন বছরের গৃহযুদ্ধে বহু মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে, এতে কয়েক হাজার মানুষের মৃত্যু এবং ২৬ লাখের বেশি মানুষের বাস্তুচ্যুতি ঘটেছে।
অন্যদিকে, ভিয়েতনামে টাইফুন ইয়াগির প্রভাবে ঝড়, ভূমিধস এবং আকস্মিক বন্যায় ২২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে।