জয় বাংলাদেশ : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপনের লক্ষ্যে ঘোষিত মুজিব বর্ষে কী ধরনের কাজ হয়েছে, কত টাকা অপচয় হয়েছে, তা বের করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। পরে সন্ধ্যায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে বৈঠকের সিদ্ধান্ত তুলে ধরেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
মুজিব বর্ষে কী ধরনের কাজ হয়েছে এবং কত টাকা অপচয় হয়েছে, সে বিষয়ে ডকুমেন্টেশন করার বিষয়ে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে কথা হয়েছে বলে জানান প্রেস সচিব। তিনি বলেন, এ নিয়ে কাজ হবে। কীভাবে, কোথায়, কোন মন্ত্রণালয় কত টাকা খরচ করেছে, সেগুলোর একটি তালিকা করা হবে। দেখা হবে, কী কী খাতে এই টাকাগুলো গেছে। মন্ত্রণালয়গুলো এই ডকুমেন্টেশন করবে বলে জানান প্রেস সচিব।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপনের লক্ষ্যে সরকার ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে ২০২১ সালের ২৬ মার্চ সময়কে মুজিব বর্ষ হিসেবে ঘোষণা করেছিল। তবে কোভিড-১৯ বৈশ্বিক মহামারির কারণে মুজিব বর্ষের সময়কাল বাড়ানো হয়েছিল।
উপদেষ্টা পরিষদের অন্যান্য সিদ্ধান্ত
উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে ‘ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) (সংশোধন) অধ্যাদেশ’–এর খসড়া উপস্থাপন করা হলেও অনুমোদিত হয়নি। এ বিষয়ে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে উপদেষ্টা কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ কমিটির মতামত ও পরামর্শ অনুযায়ী অধ্যাদেশটি পরিমার্জন করে পুনরায় উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে উপস্থাপনের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এ ছাড়া এসেনসিয়াল ড্রাগসের বিষয়ে টাস্কফোর্স করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ বিষয়ে প্রেস সচিব বলেন, দেশে ১১৭টি এসেনসিয়াল ড্রাগসের একটি তালিকা ছিল। প্রায় তিন দশক ধরে এটি হালনাগাদ হচ্ছে না। ২৬০টি হালনাগাদ করার চিন্তাভাবনা হচ্ছিল। কাজটি যাতে আরও নিবিড়ভাবে করা যায় এবং তাতে সব অংশীজন অংশ নিতে পারেন…সে জন্য একটি টাস্কফোর্সের সিদ্ধান্ত হয়েছে।