সংবিধানে মৃত্যুর কারণে আসন শূন্য হওয়ার কথা স্পষ্ট উল্লেখ নেই বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর। তিনি বলেন, মৃত্যুজনিত কারণে সংসদ সদস্যের আসন শূন্য হবে এটি সংবিধানে আজ পর্যন্ত দেখিনি। তবে এটিই সাধারণত ধরে নেওয়া হয়। কারণ, একজন সংসদ সদস্য মারা গেলে উনার পক্ষে তো আর সংসদে উপস্থিত হওয়া সম্ভব হবে না। এজন্যই এটা এভাবে সংবিধানে বলা আছে।
সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের নিজ কার্যালয়ে সংসদ সদস্য আনারের মৃত্যু ও তার আসন শূন্য ঘোষণার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা স্বাভাবিক মৃত্যু বা অপমৃত্যু যা-ই হোক না কেন, এর দায়িত্ব সংসদের। আনার সাহেবের মৃত্যুর বিষয়টি আমরা জানি না। স্পিকার যদি আসনটি শূন্য ঘোষণা করেন, করবেন। এরপর সেটা আমাদের কাছে পাঠালে আমরা নির্বাচন করবো।
সংসদীয় আসন শূন্য হওয়ার বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার বলেন, অনেক কারণে আসন শূন্য হয়। সংবিধানে বলা আছে, কোনো মামলায় দুই বছরের সাজাপ্রাপ্ত হলে, স্বাধীনতাবিরোধী হলে বা ট্রাইব্যুনালে সাজা পেলে সংসদ সদস্য পদ থাকবে না। আদালত যদি অপ্রকৃতিস্থ ঘোষণা করে তাহলেও সংসদ সদস্য পদ থাকবে না। এছাড়া যদি পদত্যাগ করেন একাধিক ক্রমে সংসদে ৯০ দিন অনুপস্থিত থাকেন সংসদের অনুমতি না নিয়ে তবে সদস্যপদ থাকবে না। এছাড়া প্রথম যে অধিবেশন বসে তখন থেকে ৯০ কার্যদিবস অনুপস্থিত থাকলে এমপি পদ থাকবে না।
তিনি আরও বলেন, কেউ যদি মারা যান তবে ৯০ দিন কেন আর কোনো দিনই সংসদ ভবনে উপস্থিত হওয়া সম্ভব হবে না। এটি ধরে নিয়েই ৯০ দিনের কথা বলা আছে। একটিই কারণ, আসন যদি শূন্য হয় তবে আমরা সেখানে নির্বাচন করবো।
ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার সম্প্রতি কলকাতায় খুন হয়েছেন বলে খবর প্রকাশ হয়। তবে মরদেহ বা দেহাংশ না পাওয়ায় তার আসনটি শূন্য ঘোষণা করা নিয়ে কিছুটা জটিলতা তৈরি হয়।