গাজায় ভয়াবহ যুদ্ধ, গণহত্যা ও পশ্চিম তীরে সহিংসতা বৃদ্ধির প্রতিবাদে পদত্যাগ করেছেন ফিলিস্তিনের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ এশতায়েহ। সোমবার প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন তিনি। তার নেতৃত্বাধীন সরকার পশ্চিম তীর শাসন করত।
এশতায়েহ বলেন, ‘পশ্চিম তীর ও জেরুজালেমে ব্যাপক আকারে সহিংসতা বৃদ্ধি এবং গাজা উপত্যকায় যুদ্ধ, গণহত্যা ও খাদ্যাভাবকে কেন্দ্র করে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য নতুন সরকার ও নতুন রাজনৈতিক পদক্ষেপ প্রয়োজন বলে মনে করেন এশতায়েহ।
ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষে রদবদল ও যুদ্ধ–পরবর্তী ফিলিস্তিনকে পরিচালনায় একটি রাজনৈতিক কাঠামোর ব্যাপারে কাজ শুরু করতে মাহমুদ আব্বাসের ওপর যখন মার্কিন চাপ জোরালো হচ্ছে, তখনই এমন বক্তব্য দিলেন এশতায়েহ।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু কখনোই চান না ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণ ও গাজা শাসন করুক মাহমুদ আব্বাসের নেতৃত্বাধীন ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ। বরাবরই তিনি এ ধরনের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন।
ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের যেকোনো ‘একতরফা’ স্বীকৃতিকে নেতানিয়াহু প্রত্যাখ্যান করেন। গত সপ্তাহে নেতানিয়াহুর এমন অবস্থানের প্রতি ইসরায়েলের পার্লামেন্টের উগ্রপন্থী সদস্যরা সমর্থন জানিয়েছেন।
তবে ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ ধরনের ভোটাভুটির নিন্দা জানিয়ে বিবৃতিতে বলেছে, জাতিসংঘে ফিলিস্তিনের পূর্ণ সদস্য হওয়া ও অন্যান্য দেশের স্বীকৃতি পাওয়ার ক্ষেত্রে নেতানিয়াহুর অনুমতির প্রয়োজন নেই। মন্ত্রণালয় তা পুনরায় স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে।
ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে অসলো চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় ১৯৯০–এর দশকের শুরুর দিকে। সেই থেকে এখনো দ্বিরাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের অগ্রগতি হয়নি।