দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জাতীয় পার্টির (জাপা) দলীয় প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়া এবং জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচন করার বিষয়ে দলটির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের ও প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদ নির্বাচন কমিশনে আলাদা চিঠি দিয়েছেন।
শনিবার (১৮ নভেম্বর) দলের মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ সদস্য পদে রাজনৈতিক দলের মনোনীত প্রার্থী নির্বাচনে জাতীয় পার্টির ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি হিসেবে দলের প্রার্থী ও প্রতীক বরাদ্দ করবেন দলের চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের। তালিকায় জিএম কাদেরের স্বাক্ষরও যুক্ত করে দেওয়া হয়েছে।
তবে গত শুক্রবার পর্যন্ত জাতীয় পার্টির জিএম কাদের অংশ বলেছে, নির্বাচনে তারা যাবেন কি না এ বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
ইসিতে দেওয়া রওশন এরশাদ স্বাক্ষরিত আরেকটি চিঠিতে বলা হয়, আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটের শরিক দল হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এটি হবে শুধু নির্বাচনী জোট। জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থীরা দলীয় প্রতীক লাঙল কিংবা প্রার্থীর ইচ্ছানুসারে মহাজোটে জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচন করতে পারবেন।
রওশন এরশাদের চিঠি জমা দেন মুখপাত্র দাবি করা কাজী মামুনুর রশীদ। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘জাতীয় পার্টির প্রধান উপদেষ্টা ও বিরোধী দলীয় নেতা আজকে নির্বাচন কমিশনের আহ্বানে সাড়া দিয়ে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন, তার দল জাতীয় পার্টি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে।’
তিনি বলেন, ‘জাতীয় পার্টির অন্য কোনো অংশ বলতে কিছু নেই। সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা ও প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের স্ত্রী রওশন এরশাদই জাতীয় পার্টি। তিনি যেখানে আছেন, সেটিই মূলত জাতীয় পার্টি।’
জাতীয় পার্টি থেকে দুটি চিঠি এসেছে। জিএম কাদেরের পক্ষের চিঠিতে বলা হয়েছে, তার স্বাক্ষরে প্রার্থীকে মনোনয়ন দেওয়া হবে। আর রওশন এরশাদ চিঠিতে বলেছেন, তারা মহাজোটের অংশ হিসেবে আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে ভোট করবেন। বিষয়টি নজরে আনলে ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ সাংবাদিকদের বলেন, ‘চিঠি দুটি কমিশনে উত্থাপন করা হবে। কমিশন যেটা আমলে নেয়।’
স্বাক্ষরের ক্ষমতা (সাইনিং অথোরিটি) কীভাবে ‘সাধারণত’ হয়- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সাধারণত দলের চেয়ারম্যান অথবা সাধারণ সম্পাদক বা মহাসচিব সাইনিং অথোরিটি হয়ে থাকেন।’