মিয়ানমারের রাখাইনে আরাকান আর্মি ও সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে আবারও সংঘর্ষ শুরু হয়েছে। এতে টানা দুদিন বিস্ফোরণের বিকট শব্দে কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্ত কাঁপছে। এদিকে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বিজিবি।
শনিবার (৬ জুলাই) ভোর থেকে রাতভর এবং রোববার (৭ জুলাই) সকাল থেকে থেমে থেমে টেকনাফ সীমান্তে এখনো বিস্ফোরণের শব্দ আসছে। এতে আতঙ্কে রয়েছেন টেকনাফ সীমান্ত এলাকার বাসিন্দারা।
টেকনাফ সীমান্তের বাসিন্দা আবুল কাসেম জানান, শনিবার ভোর ৫টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত মংডু শহরের আশপাশ থেকে ভারী গোলাবর্ষণের শব্দ পাওয়া গেছে। আবারও রাতভর থেমে থেমে গোলাগুলির শব্দ আসতে থাকে। রবিবার ভোরেও থেমে থেমে বিকট শব্দ হচ্ছে।
টেকনাফ পৌরসভার প্যানেল মেয়র মুজিবুর রহমান জানান, এমনিতে রাখাইনে সংঘাত দীর্ঘ হওয়ার কারণে এপারে সীমান্তবর্তী বাসিন্দারা আতঙ্কে আছে। আবারো সংঘর্ষের ফলে নতুন করে রোহিঙ্গারা অনুপ্রবেশের শঙ্কা রয়েছে। এজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি বাসিন্দাদের সচেতন থাকতে হবে বলে জানান তিনি।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী জানান, মিয়ানমারের ওপার থেকে কখনও শান্ত আবার কখনও থেমে থেমে বিকট শব্দ শোনা যাচ্ছে। তবে এ বিষয়ে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে কোস্ট গার্ড ও বিজিবির সদস্যরা সীমান্তে সর্তক পাহারায় এবং টহল জোরদার করেছেন।
টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবির) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দীন আহমেদ জানান, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সংঘাত চলমান রয়েছে। যার কারণে টেকনাফ সীমান্তে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বিজিবি। টহল জোরদারের পাশাপাশি সদস্যও বাড়ানো হয়েছে। আর নাফ নদী দিয়ে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিজিপি) কিংবা রোহিঙ্গা নাগরিক কেউ অনুপ্রবেশ করেনি বলে দাবি করেন তিনি।