জয় বাংলাদেশ: রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় খালাস পেয়েছেন তারেক রহমান। বুধবার (২১ আগস্ট) নোয়াখালী অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. নোমান মহি উদ্দিন খালাসের এ রায় দেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নোয়াখালীর আদালতে দায়ের হওয়া রাষ্ট্রদ্রোহের একটি মামলায় খালাস দিয়েছেন আদালত। আজ বুধবার (২১ আগস্ট) নোয়াখালী অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. নোমান মহি উদ্দিন খালাসের এ রায় দেন।আদালতের পরিদর্শক মো. শাহ আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, এ মামলায় তারেক রহমানের নামে পাঠানো গ্রেফতারি পরোয়ানা ফেরত পাঠাতে চরজব্বর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। এর আগে গত রবিবার (১৮ আগস্ট) বিকেলে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে বাদী অ্যাডভোকেট ওমর ফারুকের বিরুদ্ধে ঝাড়ু ও জুতা মিছিল করেছেন সূবর্ণচরের বিএনপির নেতাকর্মীরা। এসময় ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ওই চেয়ারম্যানের বহিষ্কারসহ তাকে আইনের আওতায় আনার দাবিও জানানো হয়।
জানা গেছে, ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে লন্ডনের একটি অনুষ্ঠানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পিতা শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে বক্তব্য দেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। পরে ২০১৫ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি সূবর্ণচর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চরজব্বর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ওমর ফারুক বাদী হয়ে নোয়াখালী চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ওই মামলা দায়ের করেন।
এ বিষয়ে চরজব্বর থানাকে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেন আদালত। ২০১৭ সালের ৪ এপ্রিল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আনোয়ার হোসেন ভূঁঞা আদালতে অভিযোগপত্র দেন। পরে এ মামলায় তারেক রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে আদালত।
মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অতিরিক্ত জেলা জজ আদালতের পিপি (পাবলিক প্রসিকিউটর) দেবব্রত চক্রবর্তী। তারেক রহমানের পক্ষে ছিলেন জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট এবিএম জাকারিয়া ও কৃষকদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক (চট্টগ্রাম বিভাগ) অ্যাডভোকেট রবিউল হাসান পলাশ।