জয় বাংলাদেশ: জেলবন্দি গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইকে হত্যা করতে ১ কোটি ১১ লাখ ১১ হাজার ১১ টাকা পুরস্কারের ঘোষণা করেছে ক্ষত্রিয় করণী সেনা। ভারতের রাজস্থান রাজ্যের রাজপুতদের গর্ব ও সম্মানের প্রতীক হিসেবে পরিচিত এ সংগঠনের সভাপতি রাজ শেখাওয়াত একটি ভিডিও বার্তায় জানান, মানুষের নিরাপত্তার জন্যই লরেন্সকে মেরে ফেলা উচিত। যে পুলিশ কর্মকর্তা তা করবেন, তাকে ওই টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে। খবর নবভারত টাইমসের।
বর্তমানে লরেন্স বিষ্ণোই গুজরাটের সবরমতী জেলে বন্দি, তবে তার খ্যাতি এবং শক্তি এখনো বহাল। সম্প্রতি, মহারাষ্ট্রের এনসিপি নেতা বাবা সিদ্দিকের হত্যার দায় স্বীকার করেছে তার গ্যাং।
এছাড়া সিদ্দিকের ছেলে কংগ্রেস নেতা জিসান এবং বলিউড সুপারস্টার সালমান খানও এখন বিষ্ণোই গ্যাংয়ের হিটলিস্টে। সালমানকে গত কয়েক মাসে ৫ কোটি টাকা দাবি করে হুমকি দেওয়া হয়েছে, যা তার জীবনকে আরও ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছে।
রাজ শেখাওয়াত আরও বলেন, ‘লরেন্সের মতো একজন ভয়ংকর খুনিকে নির্মূল করা আমাদের সবার দায়িত্ব। মানুষের নিরাপত্তার জন্য এটা অত্যন্ত জরুরি।’ তিনি এও উল্লেখ করেন, ভারতের কেন্দ্র ও গুজরাট রাজ্য সরকার লরেন্সের মতো অপরাধীকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে।
লরেন্স নিজের গ্যাং পরিচালনা করছেন জেল থেকেই এবং আন্তর্জাতিক মাদক ও অস্ত্র পাচারে তার ভূমিকা রীতিমতো আতঙ্কজনক। সম্প্রতি, সালমান খানের বাড়ির সামনে গুলি চালিয়ে তাকে একটি সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছিল।
উল্লেখ্য, ক্ষত্রিয় করণী সেনা ২০০৬ সালে রাজপুতদের স্বার্থ রক্ষার উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠিত হয়। তারা ঐতিহাসিক সিনেমার বিরুদ্ধে আন্দোলন করে রাজপুতদের সম্মান রক্ষা করার চেষ্টা করেছে। ২০০৮ সালে ‘যোধা আকবর’ এবং ২০১৭ সালে ‘পদ্মাবতী’ সিনেমার বিরুদ্ধেও তারা প্রতিবাদ করে দাবি করে যে, ঐতিহাসিক তথ্যের বিকৃতি ঘটানো হয়েছে।
এখন, সবার চোখ লরেন্সের দিকে। এই চ্যালেঞ্জের ফলে রাজপুত সমাজে আবারও উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। নিরাপত্তার স্বার্থে যারা এ অভিযান সফল করবেন, তারা কি সত্যিই সেই পুরস্কার পাবেন? এ প্রশ্নের উত্তর হয়তো সময়ই দিতে পারে।