জয় বাংলাদেশ: দক্ষিণ লেবাননের বাসিন্দাদের আবারও সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ইসরায়েল। সম্প্রতি ইসরায়েলের আক্রমণের ফলে ওই এলাকা মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে। দেশটির দক্ষিণাঞ্চলে ধারাবাহিক বিমান হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল।
রোববার (১৩ অক্টোবর) দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী দক্ষিণ লেবনের ২৩টি গ্রামের বাসিন্দাদের পশ্চিম বেকা উপত্যকা থেকে ভূমধ্যসাগরের আওয়ালি নদীর উত্তরের অঞ্চলে সরে যেতে বলেছে।
একটি সামরিক বিবৃতির মাধ্যমে পাঠানো এই নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়েছে, দক্ষিণ লেবনের যেসব গ্রামে সাম্প্রতিক সময়ে হামলা হয়েছে, সেগুলোর নাম। এর মধ্যে অনেক গ্রাম ইতোমধ্যে প্রায় খালি হয়ে গেছে।
এছাড়া, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী শনিবার দাবি করেছে, “হিজবুল্লাহর সন্ত্রাসীরা নিজেদের এবং অস্ত্র পরিবহনের জন্য অ্যাম্বুলেন্স ব্যবহার করছে।” তাই মেডিকেল টিমকে হিজবুল্লাহর সঙ্গে যোগাযোগ এড়িয়ে চলার আহ্বান জানানো হয়েছে।
সামাজিক মাধ্যম এক্স-এ ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) মুখপাত্র হুমকি দিয়ে বলেছেন, “সশস্ত্র লোকদের বহনকারী যেকোনো গাড়িকে লক্ষ্যবস্তু করা হবে।”
হিজবুল্লাহর সঙ্গে সীমান্ত সংঘর্ষের পর বর্তমানে লেবাননের অভ্যন্তরে ইসরায়েলি আক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে। গোষ্ঠীটি মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের প্রক্সিবাহিনীর সবচেয়ে শক্তিশালী সশস্ত্র সংগঠন। গাজায় হামাসের সমর্থনে তারা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে রকেট হামলা চালিয়ে আসছে।
গত ২৭ সেপ্টেম্বর, ইসরায়েল হিজবুল্লাহর প্রধান হাসান নাসরুল্লাহ এবং ইরানি কুদস ফোর্সের শীর্ষ কমান্ডার জেনারেল আব্বাস নিলফোরোওশানকে দক্ষিণ লেবনের দাহিয়ায় হত্যা করে। নাসরুল্লাহ নিহত হওয়ার তিন দিন পর ৩০ সেপ্টেম্বর ইসরায়েলি সেনারা সীমান্ত দিয়ে স্থল হামলা শুরু করে।
তেল আবিব জানাচ্ছে, হিজবুল্লাহর হামলার ভয়ে উত্তর ইসরায়েলের অন্তত ৬০ হাজার বাসিন্দাকে সরিয়ে নিতে হয়েছে। এসব বাস্ত্যচুত পরিবারকে ঘরে ফেরাতে যে কোনো মূল্যে হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে আক্রমণ চালানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তারা।